YAJNA MUSIC FESTIVAL | ARATI MUSIC | SATKAHON

YAJNA MUSIC FESTIVAL

YAJNA MUSIC FESTIVAL | ARATI MUSIC | SATKAHON

নিজস্ব প্রতিনিধি

এই বাংলায় প্রতি নিয়ত জন্ম নিচ্ছে অগুন্তি শিল্পী।

চর্চা, আলোচনা, সঠিক শিক্ষা নিয়ে কেউ এগিয়ে চলেছেন তাঁর স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে, আবার কেউ বা স্বপ্নের হাতটুকুও ছুঁতে পারছেন না।

যে সময় ছিল না কোন সোশ্যাল মিডিয়া, কোন ডিজিটাল প্রতিযোগিতার মঞ্চ ,ছিল না অটো টিউন,

সেই সময় গুরুর চরণ ধরে, নিজের মন প্রান এক করে, রেওয়াজ, চর্চা, পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে যারা নিজের শিক্ষা অর্জন করেছেন তাঁরা আজও মানুষের মনের চিলে কোঠায়।

আজও তাঁদের অনুষ্ঠানের আসরে শ্রোতা দর্শক কানায় কানায় পুর্ন থাকে।

আজও তাঁদের থেকেই আমরা শিখে চলেছি যারা বলেন, “আমি আর কিই বা জানি?”

তেমনই এক মনজ্ঞ অনুষ্ঠান আয়োজিত হল যাদবপুর ত্রিগুনাসেন অডিটোরিয়ামে।

শাস্ত্রীয় সংগীতের দরবারে আরতী মিউজিক ফাউন্ডেশন( ARATI MUSIC FOUNDATION) একটি জনপ্রিয় নাম।

বিগত কয়েক বছর ধরে তারা নানা রকম মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছেন।

অনুষ্ঠিত হল তাঁদের এবছরের মিউজিক ফেস্টিভাল ‘YAJNA MUSIC FESTIVAL’।

YAJNA MUSIC FESTIVAL

এটি অনুষ্ঠিত হয় গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি।

এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন পন্ডিত শ্রী কুশল দাস ও তাঁর সুযোগ্য পুত্র শ্রী কল্যানজিৎ দাস।

অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে  ছিল বাঁশুরি মায়েস্ত্রো জয় গান্ধিজী এবং তবলায় এরেন হ্যান্ডসন যুগলবন্দী..

এরপর একক তবলা পরিবেশনায় ছিলেন শ্রী ইমন সরকার।

তাঁকে হারমোনিয়ামে যোগ্য সঙ্গত করেন শ্রী হিরন্ময় মিত্র।

এর  পরের অর্ধে ছিলেন কণ্ঠসঙ্গীতশিল্পী  শ্রীমতি কোয়েল দাশগুপ্ত নাহা। তাঁর সাথে তবলায় সঙ্গত করেন পন্ডিত পরিমল চক্রবর্তী এবং হারমোনিয়ামে শ্রী হিরন্ময় মিত্র।

অনুষ্ঠানের শেষে ছিল সবচেয়ে মনোগ্রাহী অনুষ্ঠান  সেতার এবং সরোদের  যুগলবন্দী।

সেতার বাদনে ছিলেন শ্রী কল্যানজিৎ দাস এবং সরোদে ছিলেন শ্রী কৌশিক মুখার্জি।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি একদম অন্যরকম একটা পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল সেদিন।

YAJNA MUSIC FESTIVAL

অনুষ্ঠানের এই বছরের সবচেয়ে বড় একটি দিক হলো, এই বছর যে চারজন গুণী মানুষ সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন তাঁদেরকে এ বছর আরতি মিউজিক ফাউন্ডেশন আবারো  সম্মান দিয়ে সম্মানিত করলেন।

উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী পন্ডিত শ্রী স্বপন চৌধুরী ,পন্ডিত শ্রী বিক্রম ঘোষ. বিদূশী শ্রীমতি শুভ্রা গুহ এবং পন্ডিত শ্রী কুশল দাস।

দীর্ঘ কোভিড পরিস্থিতির পরে এরকম একটি মনোগ্রাহী অনুষ্ঠান কলকাতাবাসী পেল এটা সংগীত প্রেমীদের কাছে ভীষণ একটা আনন্দের খবর।

শাস্ত্রীয় সংগীতের ঘরানায় এরকম অনুষ্ঠান সত্যি একটা অন্যরকম সন্ধ্যে উপহার দিল সঙ্গীতপ্রেমীদের।

আগামী দিনে এইরকম নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে  আরতী মিউজিক ফাউন্ডেশন জয় যাত্রা এগিয়ে চলুক।

সাতকাহনের পক্ষ থেকে রইল শুভকামনা।

COPYRIGHT © SATKAHON

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *