Subhasree Nandy (Rai) | Reciter |  Sunday Exclusive | SATKAHON

Subhasree Nandy (Rai) | Reciter |  Sunday Exclusive | SATKAHON

বরাইল পাহাড়, বরাক নদী, চা বাগানের ঘন সবুজে ঘেরা ভাষা শহীদের রক্তস্নাত শহর শিলচর, যেখানে কালিকাপ্রসাদের মত মানুষ জন্ম নিয়েছিলেন।

যেখানে বাংলা ভাষা অন্যের রাজ্যে নিজের স্বীকৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সেই আসামের শিলচর শহরে জন্ম নিয়েছেন আবৃত্তি শিল্পী, লেখিকা ডঃ শুভশ্রী নন্দী।

তাঁর ঠাকুরদা ছিলেন শিলচর শহরের বিখ্যাত আইনজ্ঞ।

সেই সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে উত্তির্ণ হন তিনি।

ছিলেন শিলচর পৌরসভার সভাপতি পদেও।

শিলচর থেকে স্বাধীন দেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করেছিলেন স্বয়ং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর নির্দেশে।

ঠাকুমা, বাবা এবং মা প্রত্যেকেই ছিলেন আকাশবাণীর আলোচনা অনুষ্ঠানের ভাষক।

প্রত্যেকের বিষয় ছিল আলাদা আলাদা… ঠাকুমা ছিলেন সামাজিক বিষয়ে, বাবা দর্শন ও দার্শনিকদের বিষয়ে এবং মা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান করতেন।

 এ হেন পরিবেশে বড় হয়েছেন আকাশবাণীর শিল্পী তথা বাচিক শিল্পী, আটলান্টার বাচিকশিল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘শব্দকল্পদ্রুম’-এর শিক্ষয়িত্রী,

‘আটলান্টা আবৃত্তি ও ভাষা শিক্ষাকেন্দ্রে’-র প্রতিষ্ঠাত্রী, উত্তর আমেরিকার বঙ্গসম্মেলন, বঙ্গমেলা, রিজিওনাল বেঙ্গলী কনফারেন্স,

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এলাম্নি এস্যোসিয়েশন বি.পি.এ.কন ও বাংলা পডকাস্টের উপস্থাপিকা,

এবং প্রায় প্রতিটি প্রথম সারির পত্র পত্রিকার নিয়মিত লেখিকা, কলকাতার ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপিকা,

আমেরিকার রাইনহার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষিকা, বর্তমানে জর্জিয়া স্টেটের স্টেট সার্টিফায়েড টিচার ডঃ শুভশ্রী নন্দী।

আজ সাতকাহনের সাক্ষাৎকারে জানব তাঁর জীবন কথা…

‘ছোটবেলা’ আমাদের সকলের জীবনেরই একটা বড় জায়গা।

কেমন ছিল আপনার কবিতা জীবনের ছোটবেলা…

আমার ছোটবেলা যখন, তখন বেতার জগত এসে পড়েছিল। তাই, ভালো ভালো অনেক কিছু শোনার সুযোগ ছিল।

আমাদের যে এলাকাটা, সেটা স্থানীয় ভাষা অধ্যুষিত বলে কথা বলায় একটা লোকগত টান থাকে।

মা বলতেন, কবিতার স্বর- সুর নষ্ট হয়ে যাবে তাই প্রমিত ভাষাটি ব্যবহার করো।

তখন কিন্তু আমরা প্রচার পাওয়ার জন্য কোন কাজ করতাম না। শেখার লক্ষ্যে, কাজের আনন্দে করতাম।ভাবতাম যখন একটা কবিতার অনুষ্ঠান করবো, তখন সেটা যতটুকু সম্ভব শুদ্ধ ভাবে করবো, সেই চর্চার যে পরিবেশ দরকার সেটা আমি খুব ভালো মত পেয়েছি।

বাবা শিশু কাব্যগ্রন্থের কিছু কবিতা বেছে বেছে খাতায় তুলে রাখতেন। সেগুলো পড়তে বলতেন। সকালে উঠে উপনিষদের স্তোত্র পড়াতেন।

সব কিছুর মধ্যে ছন্দ-তাল লয়ের যে গতিময়তা আছে, একটা সৌন্দর্য- সৌকর্য আছে সেটা খুব প্রান স্পর্শ করত।

আপনি তো গানও শিখেছেন… গান জীবনের কথা একটু যদি বলেন…

 বাড়িতে আসতেন ভক্তিমাধব চট্টোপাধ্যায়, তাঁর কাছে শিখেছি রবীন্দ্রসঙ্গীত।

শাস্ত্রীয় সংগীত শিখেছি গুরু মতি সিং এঁর কাছে। গীতা দাস শেখাতেন নজরুলগীতি, আধুনিক, সঙ্গতের জন্য আসতেন তবলার শিক্ষক।

গানের জগতের মানুষ আমি নই, কিন্তু গানটা ভালো করে শিখেছিলাম।

বার বার করে উচ্চারণে, গান পড়ে পড়ে সেই গান কে বোঝার ফলে সেই গানের কথার যে অন্তর্নিহিত ভাব তা বুঝতে শিখেছিলাম। গানের শব্দগুলো যেন এখনও পদ্মফুলের মত ফুটে ওঠে মনের মধ্যে, যা কবিতার ভাবোচ্চারণবোধে সাহায্য করেছে।।

ফিরে যাবো কবিতা জীবনের গল্পে…

আকাশবানীর শিলচর শাখায় এলেন শ্রী জগন্নাথ বসু। ওনার তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হল প্রথম রেডিও ড্রামা।

প্রায় সাত-আট দিন ধরে অনুশীলন করে অনুষ্ঠিত হল ‘গর্ব’ নাটকটি। সেখানেও আমার ডাক পরেছিল।

আমি তাঁর হাতে সেই সাতদিন তালিম নেওয়ার সুযোগ পাই।

আবার অন্যদিকে প্রতিযোগিতা তখন ভীষণ ভাবে জনপ্রিয় ছিল।

প্রতিযোগিতায় কবিতা বা সংলাপ নিক্ষেপ করতে বলা হত।

আমাদের স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর দলের সাথে বড় বড় ক্লাবের সভাপতিরাও অংশগ্রহন করতেন।

এখন বুঝি তাঁরা ওভাবেই আমাদের উৎসাহ দিতেন।

এভাবেই সংস্কৃতিকে আমরা গ্রহণ করতে শিখেছিলাম।

শুধু সংস্কৃতি নয় সাহিত্যকেও আমি সমান ভাবেই গ্রহণ করতে শিখেছি।

মা লিখেছেন ১২টি বই, বাবা লিখেছেন ৯ টি।

কবিতার বই পেতাম। দেশ পত্রিকা থেকে কবিতা লিখে রাখতাম ডায়রিতে।

কবিতা পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়েছিল তখন থেকেই।

কবিতার শব্দ গুলোকে ভেঙে নিজের মনের মধ্যে একটা খেলা চলত। শব্দ গুলোকে মনে হত শব্দ নয়, এ যেন আমার মনের নিরক্ষরতা ঘুচিয়ে দিচ্ছে।

 শিলচর সেই সময় সাহিত্য সংস্কৃতির একটি অন্যতম পীঠস্থান ছিল। তাই সব মিলিয়ে লেখা আর কবিতা আমার কাছে একটা বিশাল ভালবাসার জায়গা হয়ে উঠেছিল।

আসব আবৃত্তি শেখা প্রসঙ্গে…

বাড়িতে মা বাবা বলতেন, ” আমার সঞ্চয়িতা-আমার গীতা”

রবীন্দ্রকবিতা আবৃত্তি শেখা আমার মায়ের হাত ধরেই।

কারণ, সেই সময়, ৭০ এর শেষ দশকে কোথাও কোন আবৃত্তি শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল না।

আমাদের সঙ্গে ছিল কিছু ক্যাসেট এবং বেতার জগত।

আমরা শুনে শুনে শিখেছি। একবার দুবার নয়, শত শত বার।

খুব বেশী কিছু হাতের কাছে ছিল না বলেই হয়ত কবিতা কে নিয়ে ভাঙচুরটা খুব করতাম। নিজেই নিজের গলার নানা রকম স্বর নিক্ষেপ করতাম।

গান শেখার ফলে গলার ভাঁজ তৈরি হয়েছিল।

এক একটি কবিতা প্রায় ৫০০-৬০০ বারের কম পড়িনি।

এছাড়াও প্রদীপ ঘোষ, জগন্নাথ বসু যখন যিনিই এসেছিলেন শিলচরে তাঁর সান্নিধ্যে শেখার চেষ্টা করেছি।

সাহিত্যের প্রতি একটা ভালোবাসা ছিল। আমি মনে করি সাহিত্যের প্রতি একটা সম্যক জ্ঞান না থাকলে আবৃত্তিকে সঠিক ভাবে আত্মস্থ করা যায় না।

Courtesy Banglapodcast

বিবাহ পূর্ববর্তী জীবনের কথা শুনলাম আমরা, জানতে চাইব বিবাহ পরবর্তী জীবনের কথা…

আমার গড়ে ওঠা, বেড়ে ওঠা বিবাহ পুর্ব জীবনে ছিল সবুজের হাতছানি, যেখানে ছিল বাংলা ভাষার প্রতি এক আবেগ।

বাড়িতে সন্ধ্যেবেলা সব বিদগ্ধ জনেরা আসতেন। বাড়িটা একটা আলোচনা সভায় পরিণত হত। এই সমস্ত কিছুরই অবদান রয়েছে আমার আবৃত্তি উচ্চারণে।

একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব কিভাবে গড়ে উঠছে তারও কিন্তু একটা প্রভাব থাকে সংস্কৃতি চর্চায়।

বিবাহ পরবর্তী জীবনে কলকাতায় পাঁচ বছর ছিলাম। ভেবেছিলাম কলকাতায় পৌঁছলে সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমস্ত দরজা আমার কাছে খুলে যাবে কিন্তু সেখানে তা না হয়ে জীবন রান্নাঘরেই বেশী সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল।

সেই সময় আমি আমার গবেষণা, NET ও SLET পরীক্ষা শেষ করে CSC দিয়ে নির্বাচিত হয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজে পার্ট টাইম অধ্যাপনা করছি।  সাথে সাথে দেশবন্ধু কলেজে দর্শন বিভাগে অধ্যাপিকা পদে নিযুক্ত হলাম।

কিন্তু তারপর শেখান থেকে আমাকে চলে যেতে হয় ফিনল্যান্ড। স্বামীর কাজের সুত্রে।

সেই সময় থেকেই কি প্রবাসী বাঙালী হিসেবে বাংলা ভাষাকে, আবৃত্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার যাত্রা শুরু হল…

হ্যাঁ।শুধু বাংলা নয়, ভারতবর্ষকে সেখানে তখন কম লোকই জানত।

সেই সময় ফিনল্যান্ডে ভারতকে তুলে ধরার একটা কাজ আমি করেছিলাম। ফিনল্যান্ডের একটি কলেজের হয়ে আমি অনেকবার প্রদর্শনী আয়োজন করি ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে। প্রদর্শনী দেখতে সেখানে এসেছেন ফিনল্যান্ডের কবি, সাহিত্যিকরা।

তা নিয়ে ফিনল্যান্ডের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখাও প্রকাশিত হয়।

এরপর চলে আসি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে এসে দেখলাম আমার মতই দু একজন আবৃত্তি করছেন। নাচ-গানের খুব ভালো অনুষ্ঠান হয়, নাটকও হয় কিন্তু আবৃত্তি সেখানে তখনও সেভাবে জায়গা করতে পারেনি।

২০০০ সালে আমি আটলান্টা আসি এবং ২০০৯ থেকে আমি সক্রিয় ভাবে কবিতার জন্য কাজ শুরু করি।

২০০৯ সালে সবাইকে নিয়ে পূজারী সংস্থার অধীনে সদলবলে আমি প্রথম করলাম ‘কামাল পাশা’ কবিতাটি।

অনেকে আমাকে বলত তুমি আধঘণ্টার কবিতার অনুষ্ঠান করছ কেউ তো শুনবে না সবাই চা মুড়ি খেতে বেরিয়ে যাবে, কিন্তু সেটাই ছিল আমার কাছে চ্যালেঞ্জ।

সেই সময় নিজেদের সংস্থা করবো এইসব ভাবিনি, শুধু কবিতাকে বাঁচাবার চেষ্টা করে গেছি।

একের পর এক অনুষ্ঠানের অনুরোধ আসতে থাকে। নানা রকম ভাবে নতুন নতুন পদ্ধতিতে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে চলেছি।

উৎস থেকে মোহনা বলে একটি কাজ করেছিলাম চর্যাপদ থেকে শ্রীজাত, কবিতার ভাষার বিবর্তন নিয়ে। সেই কাজটি কলকাতার একাধিক অনুষ্ঠান পরিচালক-প্রযোজকের থেকে প্রশংসা পায়।

২০১৫ সালে সেবালয়, আটলান্টার জনপ্রিয় বাংলা লাইব্রেরী, প্রথম আবৃত্তি সন্ধ্যা আয়োজন করে।

এরপর অনেকেই নিজের সংস্থা করেন। আমিও করি। কিন্তু আটলান্টার মাটিতে দলগতভাবে কবিতাকে নিয়ে যে কাজ শুরু হয়েছিল তা কিন্তু সর্বপ্রথম আমার হাত ধরেই।

আটলান্টায় প্রথম দুটি আবৃত্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয় একটি ‘শব্দ-কল্প-দ্রুম’ ও দ্বিতীয়টি আমার তৈরি ‘আটলান্টা আবৃত্তি ও ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র’।

প্রথমটি বড়দের ও দ্বিতীয়টি ছোটদের। এই দুটিতেই কিন্তু আমি শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করেছি।

এছাড়াও আটলান্টায় প্রথম একক আবৃত্তি টানা দেড় ঘণ্টা জুড়ে করি আমি এবং রিজয়ান হৃদয়।

আটলান্টা আবৃত্তি ও ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র থেকে একটা প্রজন্ম বাংলায় স্বাক্ষর হচ্ছে। তাঁরা নিজেরা বাংলা কবিতা পড়ছে ও আবৃত্তি করছে।

প্রায় ৩৫ জনকে নিয়ে শুরু করেছিলাম। এখন অগুন্তি ছাত্র-ছাত্রী। এটি আমার কাছে বিশাল পাওয়া।

আবৃত্তি নিয়ে চর্চা হলেও বর্তমান এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে পড়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে…

সে প্রসঙ্গে আপনি কি বলবেন?

আমি মনে করি, পড়াশুনার কোন বিকল্প নেই। পড়ার পড়ে মনে হবে এটাই আমার মননশীলতা তৈরি করল এবং মনে হবে এই মননশীলতার নিরিখে একটি কবিতাকে, কবিতার ব্যক্তিত্বকে আমি নতুন ভাবে বুঝেছি।

আমরা সবার কবিতা শুনব, শৈলী শুনব, শ্রদ্ধা করবো, কিন্তু অনুকরণ যেন না করে ফেলি, তার জন্যে পড়তে হবে।

একজন বিখ্যাত আবৃত্তিকার যে শ্রমে, যে মননে একটা আবৃত্তি করছেন আমি যেন তাঁকে অনুকরণ না করি।

আমি যেন নিজের মুখের কথাটি দিয়ে কবিতাকে ফুটিয়ে তুলতে পারি, সেটার জন্যে দরকার শিক্ষা। অধ্যাবসায়।

ব্যাতিক্রম আনাটাই আমদের কাজ।

আগামী দিনে কি কি কাজ আসছে?

অনেকে বলেন বাচিক শিল্প বলে কোন শিল্প হয় নাকি?

আমি মনে করি হয়, এই যে কথকের কথা,অথবা সংবাদ পাঠের যে পঠন রীতি, বা মঞ্চে উস্থাপনার যে ধরণ প্রত্যেকটাই বচন শৈলী।

সেই ভেবেই আমি একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান করি, যার নাম ‘আমি শুভশ্রী বলছি’।

বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখিও চলছে।

আগামী দিনে, Alumni Association IIT Kanpur গাঁথা নামে একটি সংস্থার সাথে একক কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছের ৯১টি গল্প পাঠ করছি।

 কলকাতার সাথেও বেশ কিছু কাজ করছি।

প্রকৃতি, রুপকথা,শিক্ষা, মা ইত্যাদি নানারকম থিম হিসেবেও কবিতা নিয়ে আটলান্টা আবৃত্তি ও ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে কাজ করছি।

এছাড়াও আটলান্টার যেখানেই কোন আবৃত্তির অনুষ্ঠান বা কাজ হয় সেখানেই আমি পাশে চেষ্টা করি।

কারণ শুরুতে যেভাবে একার লড়াইতে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়েছিলাম এখন এতগুলো সংস্থাকে দেখলে মনে হয় পরম্পরাটা রয়ে গেল।

তাই সকলেই সর্বান্তকরণে সমর্থন করার চেষ্টা করি।

নতুনদের কি পরামর্শ দেবেন?

কাজ কাজের মত করলে কাজই কথা বলবে।

ভালো কাজ ঠিক পৌঁছে যায় শ্রোতার কানে।

তাই পৌঁছুনোর কথা না ভেবে কাজটিতে ধ্যানের মত মন দিতে হবে।

কাজকেই আরাধনা করে নিতে হবে।

তা-ই প্রস্তুত করে নেবে নিজের শৈল্পিক আধারটিকেও। সৃষ্টি হবে ভালো কাজ।

কাজ উত্তীর্ণ হবে  শিল্পে।

COPYRIGHT © SATKAHON

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *