Sobjanta tinni | Satkahon | গল্প-১৭ | যদুভট্ট

Sobjanta tinni | Satkahon | গল্প-১৭ | যদুভট্ট
বন্ধুরা, তোমরা তো জানো, বিষ্ণুপুর ঘরানার বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন যদু ভট্ট।
তাঁর আসল নাম ছিল, যদুনাথ ভট্টাচার্য।
বাবা মধুসূদন ভট্টাচার্যের কাছেই তিনি সেতার, সুরবাহার ও পাখোয়াজ বাদনের শিক্ষা গ্রহন করেন।
এরপর শ্রী রামশঙ্কর ভট্টাচার্যের কাছে তিনি কণ্ঠ সঙ্গীতে তালিম নেন।
গুরুর দেহাবসানের পর কলকাতায় গান বাজনা শিখবেন বলে তিনি ১৫ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।
কলকাতায় আসার পর তিনি রাঁধুনির কাজও করেছিলেন।
পেয়েছিলেন সেইকালের শ্রেষ্ঠ ধ্রুপদীয়া শ্রী গঙ্গাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য।
CLICK TO JOIN: SATKAHON NEWS FACEBOOK GROUP
মাত্র তিরিশ বছর বয়সেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পরে।
পঞ্চকোটের রাজসভার সভাগায়ক ছিলেন তিনি।
তাঁর গায়কীতে মুগ্ধ হয়ে পঞ্চকোটের রাজা তাঁকে রঙ্গনাথ উপাধিতে ভূষিত করেন।
এমনকি ত্রিপুরার রাজা বীরচন্দ্র তাঁকে ‘তানরাজ’ উপাধি দেন।
শোনা যায়, সর্বপ্রথম ‘বন্দেমাতরম’ গানের সুর করেছিলেন স্বয়ং যদুভট্ট। রাগ মল্লার, তাল কাওয়ালিতে।
সেই গানকেই রবীন্দ্রনাথ গাইলেন দেশ রাগে।
কথিত আছে তিনি রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে গান শেখাতেন একটি ১৭৭ বছরের পুরনো তানপুরা বাজিয়ে।
তথ্য সুত্রঃ উয়িকিপিডিয়া,বঙ্গদর্শন
বাংলা ভাষা,বাংলা সংস্কৃতির মধ্যে থেকেও আমরা বাংলার মানুষকে বা সংস্কৃতিকে কতটুকু জেনেছি ? অনেক গুণী ব্যক্তিদের জীবন কাহিনী আমাদের অনেকেরই অজানা। সাতকাহন সেই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিয়ে আজ আপনাদের দরবারে।শুধু তাই নয় বাংলায় এমন অনেক কাজ হচ্ছে বা এমন অনেক নতুন প্রতিভা রয়েছে যারা প্রচারের অভাবে সামনে আসতে পারছে না। সাতকাহন তাদের জন্য একটা বড় জায়গা রেখেছে এই নিউজ পোর্টালে।বাংলা সংস্কৃতি বিকশিত হোক, পুরাতনকে সমাদর করার পাশাপাশি নতুন কেও বরণ করে নেওয়া হোক সমান ভালবাসায়। এই অঙ্গীকার নিয়েই সাতকাহনের জয়যাত্রা।