SOBJANTA TINNI –গল্প ১৮ | নন্দলাল বসু | SATKAHON
SOBJANTA TINNI –গল্প ১৮ | নন্দলাল বসু | SATKAHON
নন্দলাল তখন আর্ট কলেজের ছাত্র। তাঁর গুরু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বয়স সাতাশ।
এদিকে রবীন্দ্রনাথ ডেকে পাঠালেন তাঁকে। দুরু দুরু বুকে নন্দলাল এলেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি।
কবির বয়স তখন আটচল্লিশ।
নন্দলালকে দায়িত্ব দিলেন তাঁর কবিতার বই ‘চয়নিকা’র দ্বিতীয় সংস্করণে ছবি ইলাস্ট্রেট করার।
সেই বইতে মোট সাতটি ছবি এঁকেছিলেন নন্দলাল বসু।
বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রতিষ্ঠার পরই রবীন্দ্রনাথ নন্দলালকে কলাভবনে এসে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন।
নন্দলাল পাকাপাকিভাবে কবির কাছে চলে এলেন ১৯২০ সালে।
১৯২৩ থেকে ১৯৫১, দীর্ঘ আঠাশ বছর কলাভবনের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
CLICK TO JOIN: SATKAHON NEWS FACEBOOK GROUP
নন্দলাল বসুর আঁকা বহু ছবি দেখে কবিগুরু লিখেছিলেন কবিতা, গান।
যেমন তাঁর আঁকা একটি ছবি ছিল মন্দিরের মধ্যে গুরুর কাছ থেকে দীক্ষাপ্রাপ্ত হচ্ছেন এক শিষ্য। সে ছবিটি দেখে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন,
‘নিভৃত প্রাণের দেবতা যেখানে জাগেন একা,
ভক্ত সেথায় খোলো দ্বার আজ লব তাঁর দেখা।’
১৯২৯ সালে কবি ও চিত্র শিল্পীর যুগলবন্দীতে সৃষ্টি হয়েছিল ‘সহজ পাঠ’।
এমনকি প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর অনুরোধে সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করে নন্দলাল বসু এঁকেছিলেন ভারতের সংবিধানে মোট ২২টি ছবি।
সবকটি ছবির মূল বিষয়ই ছিল ভারতের সংস্কৃতি।
পুরাণ থেকে ইতিহাস— সমস্ত কিছুই ছুঁয়ে গিয়েছিল তাঁর তুলি।
সেখানে যেমন ছিল রামায়ণ-মহাভারতের ঘটনা, তেমনই ছিল সিন্ধু সভ্যতা, বুদ্ধ, মুঘল শাসন, এবং অবশ্যই স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিবৃত্তও।
SOBJANTA TINNI –গল্প ১৮ | নন্দলাল বসু | SATKAHON