Satkahon Review – বাংলা গজল – মন দেওয়া মন নেওয়া হয়েছিল
Satkahon Review – বাংলা গজল
ফার্সি, আরবি ও উর্দু ভাষার পথ পেরিয়ে গজল গান যার হাত হতে বাংলায় পরিপূর্ণ রুপ নিয়েছে তিনি কাজী নজরুল ইসলাম।
তবে এমনটা জানা যায় যে নজরুলের আগেও গজল গানকে বাংলা ভাষার রুপ দেবার চেষ্টা করেছিলেন অতুলপ্রসাদ সেন। কিন্তু কাজী সাহেবের হাত ধরে বাংলা গজল এক শ্রেষ্ঠ রুপ লাভ করে।
‘শনিবারের চিঠি’ নামক তৎকালীন সাহিত্য পত্রিকা কবির এই ধারার গান কে নাম দিয়েছিল ‘নজরুলিয়া গজল’।
এমনকি অনেকে তাঁকে ‘বাংলার আমির খসরু’ হিসেবেও সম্বোধন করেছেন।
কথা হবে কবিতা… সুর হবে রাগ ভিত্তিক… এই হল গজলের মূল বিষয়বস্তু।
সময়ের সাথে সাথে কবির অনান্য গানের তুলনায় বাংলা গজল গান নিয়ে চর্চা কমে আসে।
বিভিন্ন ধারার গান নিয়ে কাজ হলেও বাংলা গজল বিষয়টি ধীরে ধীরে চাপা পড়তে থাকে।
সেই ধারাকেই নতুন করে নবীন প্রজন্মের শিল্পীদের কাছে উপস্থাপন করছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী অরুণাশীষ রায়।
সহজ ভাষা, সহজ সুরে কবিতার ও রাগ সঙ্গীতের মানকে যথাযথ রেখে নতুন বাংলা গজল গান সৃষ্টি ও পরিবেশন করছেন অরুণাশীষ ।
একাধিক বাংলা গজল তিনি নিজে যেমন পরিবেশন করছেন তেমনই গেয়েছেন তাঁর রচনা ও সুরে আরও অনেকে।
তবে দ্বৈত কণ্ঠে বাংলা গজল শোনা গেলো এই প্রথম।
অরুণাশীষের রচনা ও সুরে ‘মন দেওয়া নেওয়া হয়েছিল’ গাইলেন অরুণাশীষ ও আর এক জনপ্রিয় শিল্পী মধুরা ভট্টাচার্য।
সুচিত্রা মিউজিক থেকে মুক্তি পেয়ে গানটি কিছুদিনের মধ্যেই বিপুল শ্রোতার মন জয় করে ফেলেছে। শুধু গান নয় গানের দৃশ্যায়ন সাজানো হয়েছে এক গল্পে।
গল্প কিন্তু প্রায় অনেকটাই মধুরার মস্তিস্ক প্রসুত। আর এই গানের সব থেকে বড় চমক, গানে অভিনয় করেছেন গায়ক গায়িকা নিজেরাই।
বয়সের শেষ প্রান্তে এসে দুটি মানুষ তাঁদের ফেলে আসা পথ ফিরে দেখেন আগের মতই..
নবীন বয়সের প্রেমের দিনগুলোকে ফিরে পেতে চান আবারও একে অপরের হাত ধরেই।
চিত্রগ্রহণ করেছেন অভিষেক আগরয়াল ও দেবাশিষ দে।
নতুন বাংলা গান, প্রতিভাবান শিল্পী এবং গবেষণা মূলক কাজের সপক্ষে দাঁড়াবার জন্যে যে সাহস দরকার, সেই সাহস দেখিয়েছেন সুচিত্রা মিউজিকের কর্ণধার শঙ্কর হালদার।
আগামী দিনে নতুন বাংলা গানের জগতে বাংলা গজল অরুনাশীষের হাত ধরে তাঁর নতুন জয়যাত্রায় সফল হোক সাতকাহনের পক্ষ থেকে রইল সেই শুভকামনা।