Satkahon Review – ডিজিটাল সঙ্গীতমেলা ও নতুন গানে অমিত রে ক্রিয়েশন

Satkahon Review – ডিজিটাল সঙ্গীতমেলা
প্রথম বার অনুষ্ঠিত হল ডিজিটাল সঙ্গীত মেলা
গত বছর অমিত রে ক্রিয়েশন থেকে আয়োজিত হয় হুগলী জেলা সঙ্গীত মেলা।সেই অনুযায়ী এই বছরও তাঁদের অনুষ্ঠান হবার কথা ছিল গত ২১-২২ জুন। কিন্তু, বিশ্ব মহামারী (COVID-19) ও আম্ফানের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর, আনুষ্ঠানিক ভাবে সেটি বাস্তবায়িত হতে পারলো না। চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবন রইল শিল্পী শূন্য মঞ্চ ও দর্শকহীন আসন নিয়ে অন্ধকারে।
কিন্তু, কৃষ্টির কাছে অন্ধকার হার মানলো। আন্তর্জালের সুবিধার সদব্যবহার করে বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে ডিজিটালী পালিত হল দ্বিতীয় বার্ষিকী সঙ্গীত মেলা।
প্রায় ১ ঘণ্টা করে লাইভ অনুষ্ঠান করলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সৈকত মিত্র, ডঃ দেবাদ্রিতা মল্লিক, বৈশালী দে এছাড়াও সেদিন সঙ্গীতশিল্পী ডালিয়া চক্রবর্তী, ডঃ শ্রুতি গোস্বামী, আরাত্রিকা ভট্টাচার্য, সংযুক্তা দে, বৈশালী চক্রবর্তী, সোমালী মুখোপাধ্যায়, ও পূর্ণী বসুর গানের অ্যালবাম ও প্রসারিত হয় এই পেজ থেকে।
সব টাই যখন ডিজিটাল, তখন শুভেচ্ছা বার্তাই বা বাদ যায় কেন? তাই ভিডিওতেই শুভেচ্ছা জানালেন শ্রী চন্দন রায়চৌধুরী, অঞ্জন মজুমদার, জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী গৌরব সরকার, চন্দ্রিকা ভট্টাচার্য।
প্রায় ৬০ জন শিল্পীর, বাড়ি থেকে রেকর্ড করা গানকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে সাহায্য করেছেন পার্থ সরকার, সুকান্ত চক্রবর্তী ও সুকল্পিতা দাস।
থমকে থাকা সময় কে জাগিয়ে দিয়ে অমিত রে ক্রিয়েশন সারাদিন রইল জমজমাট।
গভীরে গান
বিশ্ব সংগীত দিবসে নতুন বাংলা গান। শুনুন। মতামতে জানান কেমন লাগলো…. শেয়ার করে আরো বন্ধুদের কাছে পৌঁছে দিন
Posted by AMIT RAY Creation on Saturday, 20 June 2020
২১ শে সঙ্গীত মেলার পাশাপাশি অমিত রে ক্রিয়েশন থেকে মুক্তি পায় একটি নতুন বাংলা গান। গানটির নাম ‘গভীরে গান’। গানটির সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অনুপম দত্ত এবং কথা লিখেছেন সুরঞ্জনা ব্যানার্জী।
গানটি গেয়েছেন, ডালিয়া চক্রবর্তী, মনস্বিতা ঠাকুর, প্রমীথ গাঙ্গুলী, শতাব্দী রায়চৌধুরী, আত্রেয়ী মজুমদার, রিয়াঙ্কা মালাকার, ও স্বরাজ সরকার।
সঙ্গীত আয়োজন করেছেন টাবুন ও অনুপম।
আপেক্ষিক ভাবে দেখতে গেলে মহামারী নানা ভাবে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করলেও, শিল্প প্রেমীরা কিন্তু দমছেন না। তাঁরা বলছেন… “হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে…”
SAPTARSHI SAHA | SATKAHON
COPYRIGHT © 2020 SATKAHON
বারবার এতো আন্তরিকভাবে হুগলি জেলা সংগীতমেলা তথা অমিট্ রে ক্রিয়েশানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সুরঞ্জনা এবং সাতকাহন পরিবারকে আমাদের কৃতজ্ঞতা। সপ্তর্ষী বড়ো আন্তরিকভাবে সাজিয়েছেন ভার্চুয়াল সংগীতমেলার রিভিউটিকে। ভালোবাসা আন্তরিক❤। সাতকাহনের প্রতিটি স্টোরিই পড়ার চেষ্টা করি। সবসময় হয়তো কমেন্ট করা হয় না। অত্যন্ত জরুরী এই সময়ে সাতকাহন পরিবার যেভাবে বাঙালির সংস্কৃতির সংগে সমার্থক হয়ে গেছে, তা অভিনন্দনযোগ্য। বয়সে অত্যন্ত নবীন সাতকাহন, দক্ষতার সংগে সামান্য ক-দিনেই বাংলা সংস্কৃতির একজন বঁধুয়া হিসেবে স্বীকৃতি দাবী করে। এভাবেই সাতকাহনের যাত্রা চলুক। সংগে আছি। শুভমস্তু।
Pingback: Satkahon Review - কবিপক্ষে online রবিশ্রদ্ধায় অমিত রে ক্রিয়েশন