Satkahon Review -করোনা কালে ছবি বিক্রি করে আর্থিক সহায়তায় শুভঙ্কর

Satkahon Review -করোনা কালে ছবি বিক্রি করে আর্থিক সহায়তায় শুভঙ্কর
মরছে মানুষ ধুঁকছে জীবন
রাজার ঘরে খিল..
ছবি এঁকে লড়ছে শুভঙ্কর
তার মস্ত বড়ো দিল…!
এটা নিছক কোন কবিতা নয়, এটা স্লোগান। লকডাউন, ঘূর্ণিঝড় সে তো কিছুদিনের ঘটনা।
দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর কপালে ভাঁজ অনেকদিন থেকেই ছিল। যেমন বন্ধ চন্দননগরের একাধিক শিল্পাঞ্চল, কিংবা দু’বছর ধরে বন্ধ গোন্দলপাড়া জুট মিল।

দাদা অভিষেক মুখার্জি সকলের পাশে সাধ্যমত দাঁড়াবার উদ্যোগ নিয়ে ফোন করেন শুভঙ্কর কে।
শেওড়াফুলির ছেলে শুভঙ্কর সিনহা রায়, ২০১৭ সালে ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজ থেকে চিত্রশিল্প নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে শিল্পী জীবন শুরু করেছে সবে।
এহেন পরিস্থিতিতে সে কি করবে?
ছবি বিক্রির বাজার যে খুব ভালো তাও না।
যতটুকু পারে তাই সাহায্য করবে ভেবে সে মাত্র ২০০ টাকায় ছবি এঁকে বিক্রি করা শুরু করে। তার ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে প্রায় ১০০ জন মানুষ সাড়া দেন তার ডাকে। ছবি আঁকার আবেদন আসে একের পর এক।
গত ৮ই এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত ৫৩ টি ছবি এঁকেছে সে। অর্থ জমা করতে পেরেছে ৪০,০০০. এরমধ্যে করোনা বিপর্যস্ত মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কিছু অর্থ এবং কিছু অর্থ তুলে দেওয়া হবে উম্ফুন ঝড়ে প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের হাতে।

শিল্পীরা থেমে নেই। যদিও তাদের নিজেদের জীবন বিপর্যস্ত তবুও তারা কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সাহায্য তুলে দিচ্ছেন।
শুভঙ্কর সিনহা রায় তেমনটাই প্রমাণ করেছেন। তাই যারা মনে করেন শিল্পী হওয়া খুব একটা আহামরি কিছু না, বরং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অন্ধকারে চলে যাওয়া.. তাদের এটাই মত পাল্টাবার সময়।
শুভঙ্করের এই প্রচেষ্টায় আপনিও যদি তার পাশে থাকতে চান তাহলে যোগাযোগ করবেন অবশ্যই।
২০০ টাকার বিনিময়ে আপনার ঘরে আপনারই একটি প্রতিকৃতি শোভা পাবে, অন্যদিকে দুজন মানুষ মুখে অন্ন তুলবে।
এইটুকু মানবতা তো আমরা দেখাতেই পারি কি বলেন?
COPYRIGHT © 2020 SATKAHON