Satkahon Interview- Tattoo – Saikat Sarkar – Tattoo Artist | Fantastic Friday

Satkahon Interview- Tattoo – Saikat Sarkar

 উল্কি অর্থাৎ শরীরে খোদাই করে আঁকা ছবি বা চিহ্ন। ইংরাজিতে আমরা বলি Tattoo.

এই উল্কি এখন নবীন প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠেছে অন্যতম প্রিয় অলঙ্করণ।

কিন্তু এই উল্কি শিল্পের আদি কাহিনী বেশ রহস্যময় তা হয়ত অনেকেই জানেন না।

সাতকাহনের সাক্ষাৎকারে আজ তুলে ধরব জনপ্রিয় ট্যাটু শিল্পী সৈকত সরকারের কথা।

আর আজ আমার সাথে তিন্নি জানাবে এই উল্কি নিয়ে কিছু অজানা কাহিনী।

Football player Barreto থেকে শুরু করে সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী একাধিক বিখ্যাত শিল্পীর Tattoo Design করেছেন আপনি। এই শিল্পের প্রতি আগ্রহ কিভাবে?

আমি ছবি আঁকা শিখেছি দীর্ঘদিন। আমার পরিবারে মা-দিদি ছবি আঁকেন।

তাই ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় আমারও।

প্রথমে দিদির কাছে, তারপর শ্রীমতী ইলা দত্তের কাছে আমি কলেজ জীবন পর্যন্ত আঁকা শিখেছি।

বড় হয়ে চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলেন?

না। ছবি আমি ভালোবেসে আঁকতাম। এখনও ভালবেসেই আমি ছবি আঁকি।

 Army হবো ভেবেছিলাম।বহু বছর NCC করতাম। সুযোগ পাই কিন্তু করতে পারিনি।

কারণ তখন আমি Hardware engineering পড়ছি।

তাছাড়া আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Art & Sculpture নিয়ে পড়াশুনা করেছি।

একটু বড় হবার পর Animation নিয়ে পড়াশুনা করার ইচ্ছে ছিল। যদিও সেটা সেই মুহূর্তে সম্ভব হয়নি।

By Saikat Sarkar

একেবারেই দুটো আলাদা বিষয় নিয়ে একসাথে?

আসলে যেটা ভালো লেগেছে করেছি। নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করিনি।

LIKE FOLLOW AND SHARE : SATKAHON NEWS ON FACEBOOK
@SATKAHONNEWS/

Sobjanta Tinni

তাহলে Tattoo কে পেশা করার গল্পটা শুনি…

পড়াশুনা শেষ হবার পর আমি চাকরি করেছি বেশ কয়েক বছর। বেড়াতে ভালোবাসি।

একবার চণ্ডীগড়ে একজনকে দেখি Tatto করতে।

অদ্ভুত ভাবে আকর্ষণ করে আমাকে এই বিষয়টা।

আমি চণ্ডীগড় থেকে একটি course করি Tattoo নিয়ে।

বাড়ি ফেরার পর আমি চাকরি করতে করতেই Tattoo করতাম।

কিন্তু তারপর দেখলাম পরাধীন হয়ে চাকরি করে যে জীবন কাটাচ্ছি, তার থেকে দিগুন আর্থিক সচ্ছলতা এবং স্বাধীনতা এই শিল্প আমাকে দিচ্ছে।

শুধু তাই নয়, আমি ছবি আঁকাটাও চালিয়ে যেতে পারছি।

By Saikat Sarkar

Tattoo করা কি যে কেউ চাইলেই শিখতে পারে?

চাইলে সব করা যায়।

কিন্তু এখন অনেকে এই বিষয়টাকে খুব হালকা ভাবে দেখছে যে Tattoo machine কিনলেই একজন Tattoo artist হয়ে যাবে।

সেটা কিন্তু নয়।

আমাকে এখনও যথেষ্ট সময় দিতে হয়। এটা নিয়ে পড়াশুনা করতে হয়।

Sobjanta Tinni

প্রাচীন সভ্যতায় Tattoo তো নানারকম দৈবিক আচরণ মেনে করা হত। শরীরে নানারকম চিহ্ন আঁকত মানুষজন।

সেগুলো তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণের শুভ-অশুভ দিক নির্ণয় করত।

এখন যেভাবে সবাই এটা করছে আপনার কি মনে হয় সেই পৌরাণিক চিন্তাভাবনা কি অবলুপ্ত? নাকি এখনও এর পিছনে কোন রহস্য আছে?

অবশ্যই এখনও আছে। আমি অনেককে দেখেছি যাঁদের কিছু নির্দিষ্ট Tattoo করার পর তাঁরা বলছেন অদ্ভুত ভাবে তাঁদের সাথে ভালো কিছু হচ্ছে।

আবার খারাপ হতেও শুনেছি।

যেমন ড্রাগন এর মুখ দিয়ে আগুন বেরোচ্ছে অনেকে মনে করবেন কি ভয়ানক। কিন্তু তা নয়।

চিন দেশে ড্রাগন শান্তির প্রতীক। ওরা মনে করে কখনো কোন বিপদ এলে ড্রাগন তাঁদের রক্ষা করবে।তাই ওরা অনেকেই শরীরে ড্রাগনের উল্কি আঁকে।

তবে সবটাই বিশ্বাস অবিশ্বাসের খেলা… যে যেভাবে মানতে চাইবেন।

আগামীর উদ্দেশ্যে কি চিন্তা ভাবনা?

আজ যেমন আছি কাল যেন তেমন থাকি। নিজের দক্ষতার যেন প্রমান রেখে যেতে পারি।

COPYRIGHT © 2020 SATKAHON

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *