Satkahon Interview – Subhajyoti Guha (Tabla Player) – Sunday Exclusive

Satkahon Interview – Subhajyoti Guha
Sunday Exclusive

Satkahon Interview – Subhajyoti Guha

সব খেলার সেরা বাঙালীর তুমি ফুটবল… ছিল তাঁর মন্ত্র… আরাধ্য দেবতা ছিলেন ডিয়েগো মারাদোনা।

মাঠ জুড়ে পায়ে বল নিয়ে ছুটতে ছুটতে হঠাৎ একদিন বড় হয়ে গেলেন… ‘গোল’ বলতে এখন তিনি বোঝেন এই পৃথিবী… কারণ সারা পৃথিবী তাঁকে চেনে বিশিষ্ট তবলা বাদক শুভজ্যোতি গুহ নামে।

সবার আগে ফুটবল প্রেমের গল্পটা শুনব…

আমার কৈশোর জুড়ে ছিল ফুটবল..ফুটবল..ফুটবল..! স্বপ্ন দেখতাম আমি একজন ফুটবল প্লেয়ার হব।

মোহনবাগান সাব জুনিওর টিম, ইস্টার্ন রেলওয়েস থেকে আমি নির্বাচিতও হই।

এমনকি যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীনও সেখানকার টিম এ আমি সুযোগ পাই কিন্তু খেলিনি কারণ তখন আমি গান বাজনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছি বেশ কিছুটা…

পরে পায়ে একটা চোট পাই তাই খেলা থেকে সরে আসি… সেই সময় গান বাজনা আমাকে মানসিক ভাবে অনেকটা সাহায্য করেছে ।

hundred years of pandit Ravishankar ..subhajyoti guha with guruji. satkahon.
With Pandit Ravi Shankar ji, San Diego, USA ( 1998)

সঙ্গীতের প্রতি বা তবলার প্রতি আগ্রহ জন্মালো কিভাবে?

আমার বাবা মা দুজনেরই গান বাজনার প্রতি ভীষণ আগ্রহ ছিল।

বাবা ছিলেন স্বনামধন্য তবলা বাদক উস্তাদ কেরামত উল্লাহ খানের শিষ্য। আর মা ছিলেন ভরতনট্যম নৃত্যশিল্পী।

তবে পেশাগত ভাবে কেউ এই জগতের সাথে যুক্ত ছিলেন না।

বাবা বলতেন ছোট থেকেই নাকি আমার ছন্দ জ্ঞান ভালো ছিল। বাবার কাছেই আমি তবলা শিখতে শুরু করি। আমার বয়স তখন আট কি নয় হবে।

তারপর প্রথাগত ভাবে শেখা শুরু হয় বাবারই গুরুভাই স্বনামধন্য তবলাবাদক ও শিক্ষক পণ্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।

Satkahon Interview – Subhajyoti Guha

তাহলে ফুটবল আর তবলা প্রশিক্ষন একসাথে চলতে থাকে? মানসিক ভাবে যে সময় আপনার ফুটবলের প্রতি নিপাট প্রেম সেই সময় এক ভাবে শান্ত হয়ে বসে তবলা শেখা… কিভাবে সম্ভব হয়েছিল?
ভালোলাগা তৈরি হল কি করে?

দেখো, এখন যেমন মনোরঞ্জনের জন্যে বা সময় কাটাবার জন্যে অনেক কিছু রয়েছে তখন কিন্তু সেসব ছিল না।

তাই আমাদের বন্ধুদের মধ্যে আলোচনা বলতে ছিল গান বাজনা, বই, নানা রকম ছবি আঁকা ইত্যাদি নিয়ে।

তাছাড়া আমি তখন গিটারও বাজাতে পারতাম।কোন অনুষ্ঠান হলেই ডাক আসত শুভ গিটারটা নিয়ে চলে আয়।

আর তখন বাড়িতে রবীন্দ্রজয়ন্তী হচ্ছে, একটু তবলা বাজাচ্ছি এইগুলো চলছিল।

কিন্তু, বাবা যখন আমাকে গুরুজীর কাছে আমাকে নিয়ে গেলেন, গুরুজী বললেন,আমি যা শেখাবো তুমি প্রত্যেকদিন তা দু ঘণ্টা অভ্যাস করবে। যদি তা না করে আমাকে মিথ্যে বলো আমি বুঝতে পারব।

গুরুজীর সেই কথা আমার কাছে বেদ বাক্য হয়ে গেলো।

আমার মনে হল উনি আমাকে বিশ্বাস করেছেন আমি সেই বিশ্বাস কোনোদিন নষ্ট করতে পারব না।

তাছাড়া গুরুজীর ব্যক্তিত্ব, শেখানোর পদ্ধতি আমাকে মুগ্ধ করেছিল।

With Ustad Shahid Parvez Khan | Minneapolis, USA


তাহলে ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছে কি সেইখান থেকেই বদলাতে শুরু করলো?

না। এখানে ঘটলো এক মজার ঘটনা। আমি তখনও মারাদোনাতে আচ্ছন্ন।

গল্পটা বলার আগে একটা কথা বলি, আমরা কিন্তু গুরুজীর অনুমতি ছাড়া কোন অনুষ্ঠান শুনতে যেতে পারতাম না।

কারণ গুরুজী মনে করতেন সঠিকভাবে সাঙ্গীতিক জ্ঞান তৈরি না হওয়া পর্যন্ত গুনী মানুষের অনুষ্ঠান শোনা উচিত নয়,কারণ কোন কিছু শোনার জন্য ও একটা যোগ্যতা প্রয়োজন।

আমার তখন পাঁচ বছর হয়ে গেছে প্রায় আমি গুরুজীর কাছে শিখছি।

গুরুজী আমাকে অনুমতি দিলেন উস্তাদ আল্লারাখা খান এবং উস্তাদ জাকির হোসেন এর একটি অনুষ্ঠান শুনতে যাবার।

সেই অনুষ্ঠান আমার চিন্তা ভাবনাই বদলে দিলো।

আমি দেখলাম সহস্র শ্রোতার উন্মাদনা, করতালি… তখন আমার মনে হল এই উত্তেজনার এক অংশও মারাদোনার থেকে কম নয়।

তারপর থেকেই আমি তবলার প্রতি বেশী করে মনোযোগ দিতে শুরু করলাম।

With Pandit Tejendranarayan Majumder ,Kansas City

পেশাগত ভাবে সঙ্গীতকে নির্বাচন করতে পরিবার কতটা পাশে ছিল?

আমার বাবা ভীষণ পাশে ছিলেন। মা-ও ছিলেন।যদিও পড়াশুনাতেও আমি ভালো ছিলাম।

তবে সকলেই যে সাথ দিয়েছিলেন এমনও নয়।

যারা বাবার কাছে বলতেন ছেলে গান বাজনা নিয়ে কি ভবিষ্যৎ গড়বে? বাবা তাঁদের বলতেন তোমরা তাহলে ওকে দত্তক নিয়ে নাও দেখো ও কি বলে…

M.C.A পড়ার সময় এক ঘটনা ঘটে। কলেজে একজন শিক্ষক আমাকে দেখেছিলেন কোন অনুষ্ঠানে বাজাতে।

পরেরদিন ক্লাসে আসার পর আমাকে ডেকে বললেন, “ এখানে ৭৫ জন ছাত্র আছে। তুমি তাদের সকলের থেকে আলাদা। একটু ভাবলে দেখবে তুমি হয়ত ৭৫০০০ জনের মধ্যে একজন।

তোমাকে কাল থেকে ক্লাস এ আসতে হবে না। তুমি মন দিয়ে গান বাজনা করো, একদিন বিশ্বের লোকে তোমায় চিনবে।“

তাছাড়া জ্যাঠামশাইও শাস্ত্রীয় সংগীত চর্চা করতেন শৈশবে।

পেশাগতভাবে না হলেও সংগীতের প্রতি তাঁর অনুরাগ ছিল।

তিনি বলেছিলেন “তুমি যদি যেকোনো প্রতিকূলতায় গান বাজনা ছেড়ে দাও তাহলে আমি ভুলে যাব আমি তোমার জ্যাঠামশাই। সময় দিতে হবে, একদিন সাফল্য আসবেই।”

আর একটা মজার কথা হল যারা যারা আমাকে Discourage করত, তাঁদের সাথে কথা বাড়াবার প্রয়োজন বোধ করতাম না। তাই মনে মনে আমি তাঁদের “ভাগ শালা” category তে ফেলে দিতাম।

যেমন ধরো কলেজ এ পড়ি, প্রেম করব কি? মেয়েরা বলছে আচ্ছা তুই যদি ৬ ঘণ্টা রেওয়াজ করিস আমরা কখন বেড়াতে যাব? হয়ে গেলো “ভাগ শালা” category…

এছাড়াও যারা বলতেন তোমার বাবা ডাক্তার তুমি গান বাজনার মত একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে কতদুর যাবে, দেখো কোন ঠিকঠাক কাজ করতে পারো কি না, তাদেরও আমি এই “ভাগ শালা” category তেই ফেলতাম।

Satkahon Interview – Subhajyoti Guha
Satkahon Interview – Subhajyoti Guha

হা..হা..হা..হা.. তাহলে মঞ্চানুষ্ঠান প্রসঙ্গে চলে আসা যাক…

প্রথমবার ১৯৯২ সালে জার্মানিতে পরম্পরা ফেস্টিভ্যালে গুরুজী পন্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে আমার সঙ্গত করার সৌভাগ্য হয়।

১৯৯৩ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত যুব প্রতিভা সম্মেলন (Young Talant Conference) নামে বাবার আয়োজনে একটি অনুষ্ঠান শুরু হয় অনূর্ধ্ব ২৫ সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে। সেই অনুষ্ঠানটিরও আমার জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

এরপর ১৯৯৭ সালে জ্যাঠামশাই এর উদ্যোগে স্বনামধন্য সরোদ বাদক পন্ডিত শ্যাম গঙ্গোপাধ্যায়ের সুযোগ্য কন্যা শ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে যুগ্ম অনুষ্ঠান করি লস এঞ্জেলেসে। সেই অনুষ্ঠান চলেছিল টানা ৩ মাস।

এরপর থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমেরিকা ও কানাডা যাতায়াত শুরু হয়।

ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমার সৌভাগ্য হয় পন্ডিত রবিশংকরজী এবং উস্তাদ আলী আকবর খানের সংস্পর্শে আসার। খুব কাছ থেকে ওনাদের দেখেছি শুনেছি। ওনাদের স্নেহ ও আশীর্বাদ পেয়েছি।

এ ছাড়াও পন্ডিত এ. টি কানন, পন্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, পন্ডিত মনিলাল নাগ, পণ্ডিত বরুণ কুমার পাল,পন্ডিত রাজীব চক্রবর্তী, অনির্বাণ দাশগুপ্ত প্রমূখের ছত্রছায়া পেয়েছি আমি আমার সঙ্গীত জীবনের শুরুতে।

Satkahon Interview – Subhajyoti Guha
With Pt. Vishwamohan Bhatt (2012)
Satkahon Interview – Subhajyoti Guha
With Pt. Ronu Majumder (2019)

এতো গুনী মানুষদের সংস্পর্শে আসার পর কোন মনে রাখার মত ঘটনা?

আমি তখন টরেন্টোয়, সালটা ২০০৪। এক বন্ধুর পরামর্শে স্বনামধন্য সেতার বাদক উস্তাদ শাহিদ পারভেজজীকে আমার বাজনা শোনাতে গেলাম।

উনি বললেন ওনার সাথে বাজাতে, সেটাই ছিল সৌভাগ্য উপরন্তু ওনার মত একজন মানুষ আমাকে প্রথমবার শুনে বললেন, পরের সপ্তাহে ওনার সাথে আমেরিকায় যেতে হবে এবং সেখানে পাঁচটি অনুষ্ঠানে বাজাতে হবে।

আমি আমার বন্ধুদের বলতে তারা তো আনন্দে পুরো মাতোয়ারা, টরেন্টোয় বসে লাড্ডু কিনে নারায়ণকে পুজো দেওয়া হল।

এরপর ২০০৯ সালে একদিন উস্তাদজী আমাকে ফোন করে বলেন ওনার সাথে ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্সে আমাকে সঙ্গত করতে হবে। শুনেই তো আমার হাত পা ঠাণ্ডা।

পাঁচ হাজার শ্রোতার মধ্যে একজন হয়ে অনুষ্ঠান শুনেছি ডোভারলেনে। স্বপ্ন দেখেছি একদিন আমার সামনে থাকবে পাঁচ হাজার মানুষ, যাইহোক, অনুষ্ঠান হল এবং খুব সফল ভাবেই হল।

তাই, আমার সঙ্গীত জীবনে উস্তাদজীর অবদান অনস্বীকার্য। আমি ওনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

Satkahon Interview – Subhajyoti Guha
First performance at Dover Lane Music Conference with Ustad Shahis Pervez (2009)

আপনি নিজেও একজন শিক্ষক, সফলতার যে চরাই-উৎরাই আপনি দেখেছেন, আগামী প্রজন্ম কে কি বার্তা দেবেন?

আমি যখন দ্বিধার মধ্যে ছিলাম যে সঙ্গীতকে আমি পেশাগত ভাবে গ্রহন করব কি না, তখন বাবা বলেছিলেন, তোমার বন্ধুরা হয়ত কেউ কেউ খুব ভালো কোম্পানিতে চাকরি করবে, তারা প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অর্থ উপার্জন করবে, তুমি হয়ত সেই মাসে ২০০০ টাকাও রোজগার করলে না, কিন্তু পরের মাসে তাঁদের থেকেও বেশী উপার্জন করলে… সেই ওঠানামা মেনে নিতে তুমি যদি মানসিক ভাবে তৈরি হও তাহলে যা তোমার মন চায় করো।

তাই আমিও বলব সংগীতের সাথে অন্যান্য যেকোনো বিষয়কে আর্থিকভাবে তুলনা করলে শিল্পী তাঁর শিল্পস্বত্বা থেকে সরে যাবে তাই আগে সংশয় হীন হয়ে শিখতে হবে তারপর আর্থিক চিন্তা করা উচিত।

রেওয়াজ করতে হবে।

সময় নষ্ট করলে চলবে না, অনেকে বলবে তুমি স্বার্থপর কিন্তু মনে রেখো you are doing something different than other.

বাবা বলতেন, “First To deserve then you desire” নতুন প্রজন্মের অনেকেই না শিখে চেয়ে বসছে আমি কেন অনুষ্ঠান পাচ্ছি না, সেটা ভাবলে হবে না। ধৈর্য ধরে শিখতে হবে। গুরুর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে হবে, অবশ্যই নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।

এখন অনেক নতুন শিল্পীদের দেখি চটজলদি জনপ্রিয়তা পাবার জন্যে যে বিষয় নিয়ে চর্চা করছে তার বাইরে অন্য বিষয়ে নিজেকে যুক্ত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিচ্ছে।

যেমন ধরো শিখছে তবলা, পোস্ট করছে হিন্দি গান গেয়ে এগুলো করলে নিজের বিষয়কে অসম্মান করা হয় বলে আমি মনে করি,কারণ Classical music is meant for class not for mass.

COPYRIGHT © 2020 SATKAHON

18 thoughts on “Satkahon Interview – Subhajyoti Guha (Tabla Player) – Sunday Exclusive”

  1. অমিতাভ কাহালী

    খুব ভাল লাগলো আরেকবার ঝালিয়ে নিতে। শুভজ্যোতি সম্বন্ধে যতটুকু জানি,, তাতে ওর ধৈর্য্য, অধ্যাবসায় ও dedication ওর সাফল্যের বীজমন্ত্র। লেখাপড়া, খেলাধুলা,সঙ্গীত যেখানেই আগ্ৰহ জন্মেছে, সেটাকে মন থেকে ভালবেসে মনোনিবেশ করে সফল হয়েছে। অত্যন্ত সুভদ্র ও বিনয়ী মানুষটা আজও মাটির কাছাকাছি বলেই হয়তো এখনও নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছে। ওর জন্য অসংখ্য শুভেচ্ছা থাকবে সবসময়। জয় হো…

  2. অমিতাভ কাহালী

    খুব ভাল লাগলো আরেকবার ঝালিয়ে নিতে। শুভজ্যোতি সম্বন্ধে যতটুকু জানি,, তাতে ওর ধৈর্য্য, অধ্যাবসায় ও dedication ওর সাফল্যের বীজমন্ত্র। লেখাপড়া, খেলাধুলা,সঙ্গীত যেখানেই আগ্ৰহ জন্মেছে, সেটাকে মন থেকে ভালবেসে মনোনিবেশ করে সফল হয়েছে। অত্যন্ত সুভদ্র ও বিনয়ী মানুষটা আজও মাটির কাছাকাছি বলেই হয়তো এখনও নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছে। ওর জন্য অসংখ্য শুভেচ্ছা থাকবে সবসময়। জয় হো…

  3. Subhasis Naskar

    Sir, not only guruji, he is path finder , I am proud I am student of pandit subhojoty Guha,.🙏🙏🙏

  4. Dada… apni sobsomoi anupranito koren … “Satkahoon” er ei protibedon ti pore bes kichu gurutyopurno bisoy jante parlam (jemon apnar football prem, sangitik jiboner utthyan, tar kromobikash o protishtito jiboner bepar e). Amar kache eta sotti vison inspiring. Onekta sahos ebong drirota pelam. Apnar sathe eki mancha e anushtan korte para ta ekta ovigyota.valo thakben.Pronaam neben.

  5. Milan Brata Basu

    শুভর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় 2009 এ যখন ও প্রথমবার দোভার লেন সংগীত সম্মেলনে শহীদ পারভেজ জির সঙ্গে বাজাতে এলো। প্রথম আলাপেই ওর আকর্ষণীয় ব্যাক্তিত্ব খুব ভালো লেগেছিল। তারপর দিনে দিনে আমাদের সম্পর্ক টা প্রগাঢ় বন্ধুত্বের হয়ে দাঁড়ালো। তারপর ও, আমি ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় আমরা 3 মুসকেটেইয়ার্স প্রতি বছর নিয়ম করে আমাদের অন্যান্য সংগীতিক জগতের বন্ধুদের নিয়ে শীতকালে পিকনিক করতে শুরু করলাম যা দেখতে দেখতে 7 বছর হয়ে গেল। শুভ এখন আমার একজন এক্সটেন্ডেড ফ্যামিলি মেম্বার। একজন অতন্ত্য ভদ্র, বিনয়ী, মেধাবী, গুণী সংগীত শিল্পী ও গুরু হিসেবে ও আজ আমাদের সংগীত জগতে প্রতিষ্ঠিত এবং ভবিষ্যতে ওর বাজনা সংগীত জগতে একটি মোটা ও চিরকালীন দাগ কেটে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস। ও সর্বাঙ্গীন সাফল্য ও সুস্থতা কামনা করি।

  6. Bishnupriya Chakrabarty

    Otttyonto sposhto Kotha.. Shubhajyoti ke jamon bhabe chini, tamonii poriskar, shoccho or boktobyo.loved the interview immensely.

  7. এত মানুষের শুভেচ্ছা , ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পেয়ে আমি সত্যি ধন্য আর আশা করব যে এরম ভাবেই সবাই পাশে থাকবে চিরকাল। সাতকাহন ও সুরঞ্জনা কে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই এই প্রচেষ্টার জন্য। সাতকাহন এই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

  8. Pingback: Abir Mukherjee | Tabla Player | Friday Fantastic | Satkahon

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *