Satkahon Interview – Nilargha Banerjee | Owner, Musica Creation
Satkahon Interview – Nilargha Banerjee | Owner, Musica Creation
LIKE FOLLOW AND SHARE : SATKAHON NEWS ON FACEBOOK
@SATKAHONNEWS/
কিছু মানুষ থেকে যান আড়ালে, তাঁরা কাজ করে যান নিঃশব্দে। এমনও হয় যে আড়ালে থাকার সুযোগ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চাওয়া একজন শিল্পশ্রমিক যথাযথ মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হন। ক্যামেরার পিছনে থাকলেও শিল্প জগতে পরিচিত নাম নীল, মিউজিকা ক্রিয়েশন এর কর্ণধার নীলার্ঘ ব্যানার্জী। হাসিখুশি ব্যবহার এবং উন্নতমানের কাজে দৃষ্টান্ত রেখেছেন শিল্পজগতে। সাতকাহনের সাক্ষাৎকারে জানালেন জীবনের ওঠাপড়ার গল্প….
নীল, এই মুহূর্তে কার সাথে কথা বলছি? Videographer? Photographer? Video editor? সুরকার? নাকি Musica Creation এর কর্ণধারের সঙ্গে?
হা হা হা হা, একজন নিতান্তই সাধারণ মানুষ নীলার্ঘ ব্যানার্জীর সাথে।
আপনি তো পড়াশুনা করেছেন সম্পূর্ণ আলাদা বিষয় নিয়ে? তাহলে এই জগতে আসা কীভাবে?
ছোট থেকেই বাড়িতে গান বাজনার পরিবেশ ছিল। দিদি পেশাগত সঙ্গীতশিল্পী। আমি নিজেও ছোটবেলায় তবলা শিখেছি।
Electrical Engineering নিয়ে পড়াশুনা করি। এরপর বেশ কিছুদিন চাকরিও করি দিল্লীতে।
তারপর ইচ্ছে হল Video Editing শিখব। সেটা শিখতে গিয়েই বিভিন্ন গানের Video Shoot এ যেতে হয় আমাকে।
তখন Videography করার ইচ্ছেটা একদম জাঁকিয়ে বসে। এরপর পুরোপুরি ভাবেই এই জগতে চলে আসি।
এই জগতে আসার পর আমার পরিচয় হয় Videographer বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যয়ের সঙ্গে। ওনাকে আমি আমার গুরু মনে করি। ওনার কাছেই আমি Videography শিখেছি।
এছাড়া আমাকে আমার Setup তৈরির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভাবে সাহায্য করেছেন শুভাশিস দা, তাঁর কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।
সত্যি বলতে কি, প্রথম থেকে অনেক শিল্পী আমার কাজকে সাদরে গ্রহন করেছেন তাই অন্য কিছু করার কথা ভাবলেও আর উপায় নেই।
মানুষের ভালোবাসা আমাকে এই জগতে এনেছে আর তাঁদের জন্যেই আমাকে থাকতে হবে।
ছেলে হিসেবে কখনো এই অনিশ্চিত জীবন নিয়ে সমস্যা হয়নি?
নিশ্চয়ই হয়েছে। আর সেই সমস্যাই আমাকে শক্তি দিয়েছে। বিশেষ করে এই লকডাউনে মনে হয়েছে চাকরি করলেই ভালো হত। কিন্তু যখনি সে কথা ভেবেছি কোন না কোন কাজ এসে গেছে।
আমার পরিচিত বা বন্ধুবান্ধবরা যখন বলছেন বাড়িতে বসে বিরক্ত হচ্ছি তখন আমার দম ফেলার সময় নেই।
একের পর এক Collaboration Video Edit কিংবা Musica এর project ছিলই।
ভগবান করুন যেন এমনই ব্যস্ত থাকতে পারি। ব্যস্ততা না থাকলে গ্রহণযোগ্যতা কমে যায় বলে আমার ধারনা।
পরিবার থেকে কতটা সমর্থন পেয়েছেন?
দেখুন সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের একটা তো আশা থাকেই। বাবা আমাকে পড়াশুনা শিখিয়েছেন অনেক কষ্ট করে, তাই আমার চাকরি না করা নিয়ে খানিকটা সংশয়ে থাকলেও আমার বর্তমান সাফল্য তাঁর সেই সংশয় দূর করেছে।
এখন আমার কোন কাজ এলে বাবা দেখেন জানতে চান। আর মা তো ছোট থেকেই পাশে ছিল। মা আমার অনুপ্রেরণা।
তবে দিদি না থাকলে এই জগতে আসাই হত না হয়ত।
কারণ দিদি একদিকে যেমন মায়ের মত বড় করেছে তেমনই যখন চাকরি না Musica এই নিয়ে সব থেকে বেশী চিন্তায় ছিলাম আমি সেই সময়ে এক বাক্যে আমার মনের ইচ্ছেটা কে প্রাধান্য দিয়ে সে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
নিজেকে শিল্পজগতে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে কতটা Sacrifice করেছেন?
সেটা তো আমার পরিবার বলবে, বা আমার বন্ধুরা বলবে। যাঁদের সাথে কাজ করেছি তাঁরা বলবেন। আমি বলার কেউ নই। প্রত্যেকে Sacrifice করেন।
তবে আমতা(Howrah,Amta) থেকে ভোর বেলা বেরিয়ে Shooting করে রাতে ফেরা এটা একটা পরিশ্রম যেটা আমাকে করতে হয়।
আর সত্যি বলতে কি যাঁদের জন্যে এই পরিশ্রম তাঁদের থেকে ভালো ব্যবহার না পেলে তখনই এই Sacrifice করছি বিষয় টা মনে হয়।
যেমন ধরুন একটা Video Edit বাকি থাকায় আমাকে শ্রীরামপুরের Wedding ছেড়ে ভোর বেলা বাড়ি ফিরতে হয়, সেই কাজ শিল্পীকে দিয়ে আবার আমি ওইদিন শ্রীরামপুর ফিরি।
সেই শিল্পী যখন আমার কাজের প্রশংসা করছেন তখন আর সেটা Sacrifice থাকে না। সেটা আমার সাফল্য।
আর Sacrifice ঠিক না হলেও আমতার মত জায়গায় Videography বা Video Editing জানা ছেলে, বা কাজ শিখতে চাওয়া ছেলের খুব অভাব।তাই অনেকটাই আমাকে একা করতে হয়।এটা একটা সমস্যা।
আমতা থেকে শুধু একজন ছেলে, সুবর্ণ দাশগুপ্ত আমার এই কাজে আসার পর থেকে আমার কাছে কাজ শিখছে আর আমার সমস্ত কথাই ও মেনে চলে। আমার কাছে Musica পরিবারের একজন। খুব আনন্দ হয় যে শেখার পাশাপাশি আমি একজনকে কাজ শেখাতেও পারছি।
আপনি তো শুনেছি অনেক কম পারিশ্রমিকে কাজ করেন। এতো সাফল্য পাবার পরও…..কেন?
দেখুন পারিশ্রমিক কম না বেশী সেটা কোন বিষয় হয় না, এমনকি অনেকের ক্ষেত্রে বিনা পারিশ্রমিকেও অনেক কাজ করেছি।
কিন্তু কম পারিশ্রমিকে ভালো কাজ করার পর কিছু মানুষের কাছে যখন আমি “সস্তার কাজের বেলায় নীল” হয়ে উঠি, এবং অন্যকে অনেক বেশী পারিশ্রমিক দিয়ে একটি নিম্নমানের ভিডিও বানাতে দেখি তখন কোথাও সত্যিই খারাপ লাগে।
কিন্তু আমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমি বদলাব কি করে, আবারো কাজ করি, কম পারিশ্রমিকে। হা হা হা হা।
নিজে একটি কোম্পানির কর্ণধার হয়েও আপনি অন্য অনেক কোম্পানির সাথে কাজ করেন। অসুবিধে হয় না?
অহংকার শব্দটা আমার অভিধানে নেই। আমি সব কিছুর আগে নিজেকে একজন সাধারণ মানুষ বলে মনে করি।
যেকোনো কাজ আমি মন দিয়ে করি। তাই হয়ত সবাই আমাকে ভালবাসেন,ভরসা করেন।
সেই বিশ্বাস বা সেই ভরসা থেকেই অনান্য কোম্পানি আমাকে কাজ দেন।
আসলে এই যে সকল কে নিয়ে চলা, অমায়িক ব্যবহার করা, একে অপরকে হিংসে না করে একসাথে কাজ করা এগুলো সবই আমি শিখেছি বিশ্বজিৎ দার কাছে।
এই লকডাউনের কঠিন সময়ে আমার Gimble (Camera equipment) খারাপ হয়ে যায়।
আমাকে নিজের Gimble (Camera equipment) টা দিয়ে বিশ্বজিৎ দা বলে ‘যতদিন না ঠিক হয় তুই এটা ব্যবহার কর’।
এ জগতে খুব কম মানুষ একে অপরকে এভাবে এগিয়ে দেয়, অন্তত আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আমি এটা বলব।
সুরকার নীল কি রকম মানুষ?
সুরটা একদমই শখে। এই পর্যন্ত মোট ৬ টা গানের সুর করেছি। তার মধ্যে একটি গান “বঁধুয়া রে” এই পুজোয় মুক্তি পাবে।
“কাব্যতরী”, “মুদ্রম” একের পর এক সফলতা, এখন “আমি যে জলসাঘরে” ডিজিটাল সঙ্গীতানুষ্ঠান কতটা সাড়া পাচ্ছেন?
আমি গর্বিত যে মানুষ Musicar প্রত্যেকটি কাজ কে সাদরে গ্রহন করেছেন। কাব্যতরী এমন একটি ঘটনা যেটা আমার মাথায় আসে এই ভেবে যে কবিতার জগতের মানুষদের কাজ গানের মতই সকলের সামনে তুলে ধরব। যারা আবৃত্তি করছেন, শিখছেন, তারাও যোগদান করেছেন।
Season 1 তো সামগ্রিক ভাবে সফল এবং season 2 এর দুটি episod এর পর করোনার জন্যে কাজ বন্ধ আছে। এখনও আমার কাছে রীতিমত ফোন আসে যেন আমরা তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করি।
এগুলো সবই এই কারণে যে আমরা মানুষের প্রতি সৎ, কাজের প্রতি সৎ।
আর এই লকডাউনে নানা পেজ থেকে শিল্পীরা বিনা পারিশ্রমিকে লাইভ অনুষ্ঠান করছিলেন। আমরা সেটা করিনি।
কারণ দেখুন একদিকে যেমন এই মহামারী তে শিল্পীরা ক্ষতিগ্রস্ত, শিল্পশ্রমিক হিসেবে আমরাও কিন্তু কম ক্ষতির মুখ দেখিনি। তাই ঠিক করলাম টিকিটের বিনিময়ে ডিজিটাল অনুষ্ঠান টাই ঠিক পথ। এই অনুষ্ঠানটি ভীষণই ভালো ভাবে এগিয়ে চলেছে।
অনেক শিল্পীরাই যোগাযোগ করছেন। এমন কি অনেক সংস্থাও ইতিমধ্যে তাঁদের শিল্পীদের আমাদের এই অনুষ্ঠানে গান গাইবার জন্যে পরামর্শ দিয়েছেন।
এতো অল্প বয়সে সফলতা পাচ্ছেন, সম্মান পাচ্ছেন। “ভালমানুষ” বা “ভালো ছেলে” বলে যে পরিচয় আপনার, কেউ সুযোগ নিতে পারে, প্রস্তুত তো?
অবশ্যই। দেখুন সম্মান তো আর হাত পেতে চাইলে পাওয়া যায় না ! সম্মান অর্জন করতে হয়।
আর ভালোমানুষির সুযোগ নেওয়া কিছু মানুষের ধর্ম, তাঁরা সেটা করবেনই। ঠকেছি, শিখেছি। ঠকবো, শিখব। এটা চলতেই থাকবে।
উন্নতমানের কাজ দিতে চাই বলেই অধিকাংশ কাজ আমি একা করি। তাই কোম্পানির কর্ণধার সত্ত্বাটা সব সময় প্রকাশ করি না, এমনও হয়েছে যে সেই সুযোগ নিয়ে আমাকে আমার পদ থেকে সরিয়ে সেই জায়গা নেবার চেষ্টা করা হয়েছে, যদিও আমার কাছে এটা খুবই হাস্যকর একটা ঘটনা।
তবে প্রয়োজনে সেই সত্ত্বা প্রকাশ করতে হবে তো বটেই।
ক্যামেরার পিছনে থাকি তাই অনেকেই আমাদের আবছা দেখেন। প্রয়োজনে আমাদেরও সামনে আসতে হয়। মানুষকে ভুলটা বুঝিয়ে দিতে হয়।
আমি মনে করি কাজে জবাব দেওয়াটা খুব কঠিন আর সেই কঠিন কাজটাই আমি বরাবরের মত করব।
Mugdho holam…nijeke apnar p.a korte pere ami dhonno Mr. Banerjee😊
Tor opor amar onek onek oviman.he sudhu e oviman rag vebe vul koris na jeno.karan tor sei hasi mukhe dada bole buke joriye dhora ta khoob miss kori.hoyto sei sujog r konodin asbe kina jani na.hoyto tai ato oviman.kintu ami mon thekhe asirbad kori vai ro boro ho tui.r ai rakam vabe e thak tui,❤️❤️❤️❤️❤️
Pingback: বসন্ত বাতাসে | মনে করিয়ে দেয় ছোটবেলার প্রেম | Satkahon