Satkahon Interview – Laavanya Ghosh | Odissi Dancer | Fantastic Friday

Satkahon Interview – Laavanya Ghosh
ওড়িশি নৃত্যশিল্পী লাবণ্য ঘোষ। মাত্র ২০ বছর বয়সেই তাঁর সংগ্রহে ওড়িশি ডান্সার ফোরাম আয়োজিত পরম্পরা অ্যাওয়ার্ড, নবীন কলাকার ভুবনেশ্বর আয়োজিত ভারতীয় নৃত্য বিস্ময়, ২৩ তম ভারতীয় থিয়েটার অলিম্পিয়াড আয়োজিত জাতীয় নৃত্য ভারতী পুরস্কার, এছাড়াও গোপী কৃষ্ণা জাতীয় পুরস্কার, ওড়িশি শ্রী আওয়ার্ড, নৃত্যশ্রী আওয়ার্ড, ওড়িশি প্রতিভা অ্যাওয়ার্ড, ত্রিরত্ন অ্যাওয়ার্ড ও আরও কত কি?
খুব কম বয়সেই সে প্রসার ভারতী দূরদর্শন ও EZCC তে গ্রেডেশন প্রাপ্ত শিল্পী।
সাতকাহনের সাক্ষাৎকারে সেই ছোট মেয়েটির সাফল্যের কাহিনীই রইল আপনাদের জন্য।
লাবণ্য, খুব ছোট বয়স থেকেই তুমি নাচ শিখছ এবং পরিবেশন করছ। কার উৎসাহ সব থেকে বেশী অনুপ্রেরণা দিয়েছে? মা না বাবা?
মা, বাবা দুজনেই আমার পাশে ছিল, আছে। যেটুকু সাফল্য পেয়েছি ওনাদের আর অবশ্যই আমার গুরুদের আশীর্বাদে। তবে আমার মা ছোটবেলায় নিজেও নাচ করতেন কিন্তু তাঁর পেশাগতভাবে কোনদিনও নাচ নিয়ে এগোনো হয়নি। মা বলে মায়ের স্বপ্ন ছিল মেয়ে হলে তাকে মা নাচ শেখাবেন। মায়ের অপূর্ণ সাধ যে আমি পূরণ করতে পারছি, এটাই আমার প্রথম বড় পাওনা।
নাচ শেখার শুরু কার কাছে?
আমার যখন দু বছর বয়স তখন গড়িয়াতে আমাদের বাড়ির পাশেই একটি নাচের স্কুলে মা আমাকে নাচ শিখতে নিয়ে যান । কিন্তু বাবার বদলির চাকরি হওয়ায় আমাদের চলে যেতে হয় ভুবনেশ্বর। সেখান থেকেই আমার ওড়িশি নাচ শেখার শুরু।আমার গুরুমা শ্রীমতী রাজশ্রী প্রহরাজের কাছে। আমার নৃত্যজীবনের ভিত্তিস্থাপন করেছেন উনিই।
বাবার বদলির চাকরি হওয়ায় নানা সময়ে নানা জায়গায় থেকেছি কিন্তু নাচ কখনো বন্ধ হয়নি। অবশেষে কলকাতা আসার পর আমি স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী শ্রীমতি নন্দিনী ঘোষালের কাছে দীর্ঘ ৭ বছর ওড়িশি শিখি এবং কলকাতা ও বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করি। পুরস্কার ও পাই।
বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যবিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং গুরু শ্রীমতী পৌষালি মুখার্জির তত্ত্বাবধানে শিক্ষা গ্রহণ করছি।
এখনও পর্যন্ত যত পুরস্কার পেয়েছ তাদের মধ্যে স্মরণীয় কিছু যদি বলো…
প্রতিটি পুরস্কারই আমার কাছে মনে রাখার মত।
যেমন আমি যুগলশ্রীমল এক্সেলেনস অ্যাওয়ার্ড পাই পর পর দুবার, সংযুক্তা পাণিগ্রাহী মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড, রাজ্যসঙ্গীত আকাদেমিতে পর পর দুবার দ্বিতীয় স্থান পাই আমি, এছাড়াও ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট একাডেমীর ডান্স ড্রামা মিউজিক ও ফাইন আর্টস আয়োজিত ট্যালেন্ট সার্চ প্রোগ্রামে প্রথম স্থান, ২০১৪ ত্রিধারা উৎসবে দ্বিতীয় স্থান, পঞ্চম বার্ষিকী কটক উৎসবে শ্রেষ্ঠ ওড়িশি নৃত্য শিল্পী মনোনিত হই।
মুরারী স্মৃতি সংগীত সম্মিলনীতে প্রথম স্থান,সমগ্র ভারত নৃত্য প্রতিযোগিতা ২০১৪ তে ওড়িশি নৃত্যের প্রথম স্থান,ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্স এর ২০১৬-১৭ তৃতীয় স্থান,ভারত সংস্কৃতি উৎসব ২০১৪ প্রথম স্থান,পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত একাডেমী আয়োজিত ওড়িশি নৃত্য প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান পাই।
এক একটি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার আমাকে এগিয়ে দিয়েছে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
বয়সে ছোট হলেও তুমি এত কিছু সম্মান অর্জন করেছ, শিল্পজগতে টিকে থাকার যে সার্বিক প্রতিযোগিতা, তার সম্মুখীন হতে হয়েছে কখনো? শিল্পী হবার জন্যে জীবনে কোন কোন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে?
অনেকবার, অনেক রকম ভাবে। কখনো উচ্চতা নিয়ে সমস্যা হয়েছে কখনো আমি একক ভাবে নৃত্য পরিবেশন করায় কথা শুনতে হয়েছে।
আমি জেনেছি, বুঝেছি খুব কম মানুষ তাঁর উলটো দিকের মানুষটির মন থেকে উন্নতি চান।এমনকি অনেক তথাকথিত কাছের মানুষদের কাছ থেকেও আমাকে নানান কটু কথা শুনতে হয়েছে ছোটবেলা থেকে। একসময় আমি সিদ্ধান্ত ও নিই যে আমি নাচ করব না। কিন্তু আমার বাবা মা পাশে ছিলেন বলেই আমি আবার নিজের মন কে নাচের প্রতি স্থির করতে পেরেছি।
পড়াশুনা এবং নাচ আমি একসাথে করি।যখন আমার পরীক্ষার আগের দিন নাচের অনুষ্ঠান থাকত আমি মেকাপ করতে করতে পড়েছি।
কোন কিছুকেই আমি অবজ্ঞা করিনি। কিন্তু নাচ আমার কাছে সব কিছু তাই নাচ কেই জীবনে সব থেকে বেশী গুরুত্ব দিয়েছি।
একসময় আমাকে বলা হয়েছিল আমি নাচটা ঠিক করে করলেও Expression ঠিক মত দিতে পারি না। তারপর জেদ নিয়ে আমি সেই বিষয়ে মনোযোগ দিই, এখন সবাই আমাকে Expression queen বলে ডাকেন। এটাই আমার প্রাপ্তি।
আমি জানি যত খারাপ কথা, অহেতুক নিন্দা ও হিংসা বিদ্বেষের জবাব একদিন আমি আমার কাজ দিয়েই দেবো।

লাবণ্য তোমার জীবনের খুব আনন্দের কোন ঘটনা বলতে তোমার সবার প্রথমে কি মনে আসে?
আমার আনন্দের মুহূর্ত এটাই যে আমার কোরিওগ্রাফি মানুষ ভালোবেসে নিজে থেকে দেখে শিখে পরিবেশন করছে..ভারতবর্ষ ছাড়াও বাংলাদেশ এবং আরও অনেক দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি।
এখন আমি নাচ শেখানো ও নৃত্য প্রদর্শনী শুরু করেছি। সকলেই সানন্দে অংশগ্রহন করছেন এটাই ভীষণ আনন্দের।
তোমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশ্যে কি বলবে?
মন থেকে অনেক ধন্যবাদ জানাব সবার আগে। কিছুদিন আগেই আমার একটি নাচের ভিডিও ১ লক্ষ ভিউ পেরিয়েছে। সকলের এই ভালোবাসার আমি যেন মান রাখতে পারি এটাই আমার প্রার্থনা।
আর আমি জীবনে এমন কিছু করে যেতে চাই যাতে আমি না থাকলেও আমার কাজটা থেকে যায়। অনেকটা পথ চলা বাকি, আশাকরি সবার আশীর্বাদ পাবো।
She is an excellent dancer, very talented.
Wish Lavanya more success & many more accolades.. 👍🏼
Lavanya is a wonderful dancer, very talented .God bless you my dear
অনেক বড়ো হও। সমস্ত সাফল্য পাও এক্সপ্রেশান কূইন। আশীর্বাদ রইল।
Onek bhalo laglo tomar kotha jante pere, tomar dance ami mugdho hoye dekhi, tomar new dance update ar opekhay thaki. Sotti tumi expression queen. Onek chhotoder tumi inspiration. Bhalo theko, valo rekho sobaike. Tomar dance diye sobaike anonde voriye rekho, ai kamonai kori. God bless you.
Awesome ,talented,graceful ,beatiful, powerhouse of perseverance ❤ God bless you with all the positive things on this planet.
Labanya you are an awesome dancer. Liked your short speech too
খুব ভালো লাগল, লাবণ্য।
এভাবেই এগিয়ে যাও, চলার পথে বাধা বিঘ্ন আসবে কিন্তু সেসব অতিক্রম করো সসম্মানে তোমার নৃত্যকলার মাধ্যমে।
All the best Lavanya. God bless you.
Very inspiring! Keep it up! May God bless you!
Onek unnoti koro ei ashirbad kori
Wish you a million good wishes Laavanya.Jotobari tor dance er video gulo dekhi obak drishti te takiye thaki… Tui sotti khub talented r khub bhalo dance koris.. May God bless you. Bhalo thakis.
Congratulations for all the achievements and all the best for the upcoming ones. This will inspire a lot of budding talents and will help them grow. Keep shining and smiling ! Lots of love for you as always!
Pingback: Jochona Koreche Ari | Laavanya Ghosh | Satkahon