Satkahon Interview | Agnishikha | Poet & Reciter | Fantastic Friday
Satkahon Interview | Agnishikha
কবি এবং আবৃত্তিশিল্পী ঝুমঝুম বন্দ্যোপাধ্যায়। অগ্নিশিখা নামেই তার পরিচয়।
ছোটবেলা থেকেই কবিতা তাঁর সর্বক্ষণের সাথী। তাঁর মনের কথা বলার সঙ্গী।
নিজের লেখা কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে তিনি মানুষের মনে কেবলই আনন্দ আনতে চান। দিতে চান সদার্থক বার্তা।
আসুন জেনে নিই সাতকাহনের সাক্ষাৎকারে তাঁর কিছু অজানা কথা….
দিদি, আপনি তো দীর্ঘদিন অগ্নিশিখা ছদ্মনামে কবিতা লিখছেন। এই ছদ্মনামের আড়ালে কোন গল্প?
আসলে কালী পুজোর দিন জন্ম বলে, ঠাকুমা আমার নাম দিয়েছিলেন দীপান্বিতা। যার অর্থ প্রদীপের শিখা।
পরে আমার দিদার দেওয়া নাম ঝুমঝুম নামই ব্যবহার করা হয় স্কুল-কলেজে।
কিন্তু দীপান্বিতা নামটা আমার বেশ পছন্দ ছিল। আমি যখন বড় হই আমি ঠাকুমাকে বলি, যে দীপান্বিতার বদলে আমি যদি অগ্নিশিখা নামটা আমার কবি জীবনের নাম হিসেবে ব্যবহার করি কেমন হয়?
ঠাকুমা বলেন বেশ তো। ছোট্ট প্রদীপের শিখা বড় হয়ে অগ্নিশিখাই তো হবে!
কবিতা লেখার প্রতি উৎসাহ কি ছোট থেকেই?
আমার জ্যাঠামশাই, দাদু সকলেই লেখালেখি করতেন।
বাবার দিক থেকে দেখলে আমার পূর্বপুরুষ ছিলেন পাবনা জেলার নারায়ণ চৌধুরি বংশের মানুষ। ওই বংশের বই আছে “পাবনা জেলার ইতিহাস” নামে।
আমার মেজো পিসিও প্রবন্ধ লিখতেন। আমি সেই লেখা দেখতাম, পড়তাম।
তখন আমার মনে হত আমিও একটু লিখব।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন গ্রন্থ, যেমন কালের মন্দিরা, বহু যুগের অপার হতে কিংবা কবিগুরুর গীতবিতান, বা গল্প উপন্যাস আমি পড়তাম।
সেই ভাষা, লেখার ধরণ আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।
এগুলো সব আমার স্কুলের সময়কার কথা বলছি।
কলেজে যখন পড়ি আমি অনুষ্ঠানে আমার লেখা আবৃত্তি করতাম। সকলে ভালো বলতেন, সেগুলো একটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে আমার রচয়িতা জীবনে।
কবি অগ্নিশিখার জন্ম কি তবে তখন থেকেই?
না, তখন শখে লিখি। যদিও আমি মনে করি এই শখ চিরকালের। কারণ শখ মানে তো ইচ্ছে। আর ইচ্ছে না হলে তো সৃষ্টি হবে না।
যাইহোক, এরপর সংসার জীবন, স্বামী কন্যা সামলাতে সামলাতে একটা দীর্ঘ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
কিন্তু মেয়ে একটু বড় হবার পর আমি আবার নতুন করে লেখা শুরু করি। তখনই অগ্নিশিখার জন্ম।
এখন তো ওরাই আমাকে উৎসাহ দেয়।
আবৃত্তি শিক্ষা নিতে শুরু করলেন কবে থেকে?
আমি ভাবলাম লেখাটা নিয়ে যখন আমি সচেতন তখন আমি কেননা আবৃত্তি মাধ্যমে মানুষের মধ্যে তাকে আরও একটু পৌছে দিই.
প্রথাগত ভাবে আমি আবৃত্তি কারো কাছে শিখি নিই তাই আমি ভাবলাম আমাকে আগে শিখতে হবে।
সেই ভেবেই আমার প্রথম যাওয়া সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ওনার কণ্ঠে, ওনার আবৃত্তিতে একটা উষ্ণতা আছে, যেটা আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করে।
আমার প্রথম শিক্ষাগুরু উনি। আমার অন্যতম অনুপ্রেরণা।
কবিতার বই কবে পাবো আমরা?
আসলে এই বছরের শুরুতেই কবিতার বই প্রকাশের কথা ছিল।
কিন্তু তা তো হল না, তবে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে আমার প্রথম কবিতার বই “অগ্নিশিখা”
কত লেখার ভিড়ে কত লেখা হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও শিল্পীরা লিখে চলেছেন।
কিন্তু একটি কবিতার একটি স্থায়ী জনপ্রিয়তা, যা মানুষ মনে রাখবেন, আবৃত্তি করবেন চিরকাল… কিভাবে সম্ভব বলে আপনি মনে করেন?
দেখো, লেখা হতে হবে সহজ দৈনন্দিন ভাষায়। মানুষকে দিতে হবে সদার্থক বার্তা।
তবেই এখনকার সময়ে একটি কবিতা মূল্যায়ন পাবে।
এখন জনসাধারণ খুবই ব্যস্ত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
তাই লেখার পরিমাপ, ভাষা সব কিছু মাথায় রেখেই লিখতে হবে।
বাস্তব জীবন নিয়ে লেখা আমার তেমনই একটি কবিতা ২৪ ঘণ্টা নিউজ চ্যানেল এ প্রচারিত হয়।
সংসার… কবিতা… আবৃত্তি লেখা… একসাথে কিভাবে সামলান?
সংসার একটা নিত্য প্রয়োজনীয় জায়গা। আর কবিতা আমার ভালোবাসা।
দুটোকে নিয়েই আমার জীবন।
সেখানে সবাই আমার ভালোবাসাকে প্রাধ্যান্য দেন এটা আমার ভাগ্য।আমার প্রাপ্তি।
এখন তো অডিও-ভিসুয়াল দুটোরই সমান চাহিদা… কবিতার এখন শুধুই শ্রোতা নেই, দর্শক ও আছেন। সেই প্রসঙ্গে কি বলবেন?
সেই কথা মাথায় রেখেই আমার ইউটিউব চ্যানেল “অগ্নিশিখা” তৈরি করা। কারণ, যুগোপযোগী তো হতেই হবে।
তবে সব ক্ষেত্রে সব কবিতার ভিডিও করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর অনেকেই এখনও কবিতা পড়তে ভালবাসেন।
একজন নতুন লেখিকা হিসেবে অন্যান্য নতুন লেখক লেখিকাদের কি বলবেন?
মন যেটা চাইবে, সেটা করে যেতে হবে। সাফল্য আসুক বা না আসুক, ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে শুধু কাজ করে যেতে হবে।
শেষ প্রশ্ন, অগ্নিশিখার কবিতা মানুষ কেন পড়বেন? কেন শুনবেন?
আমি মনে করি অগ্নিশিখা মানুষের অন্তরের সুপ্ত আগুনকে জাগিয়ে তুলবে। তাকে শক্তি দেবে, অনুপ্রাণিত করবে।
প্রত্যেক মানুষের জীবনে অগ্নিশিখা একটি অংশ হয়ে থাকবে কারণ, অগ্নি আদি, অগ্নির অন্ত নেই!
Darooon chaliye jao fantastic keep up your wonderful work 👌🏻👌🏻👍
ei vabei egiye jao