Satkahon-Friday Fantastic | Rupa Biswas | Singer

Satkahon-Friday Fantastic
বাঙালী শব্দটার সঙ্গে যে গান বাজনা ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে সে কথা সকলেরই জানা।
আজকাল যদিওবা, মা বাবা তাঁদের সন্তানকে গান বাজনার বদলে কম্পিউটার শিখতে বেশি অনুপ্রাণিত করেন।
কারণ তাঁরা নিজেরাও হয়ত কর্মসূত্রে এমন জীবন যাপন করেন যে, ডিজিটাল দুনিয়া ছেড়ে সন্তানকে হারমোনিয়ামে সারেগামা শেখানোর সময় দেওয়া তাঁদের পক্ষে কোনমতেই সম্ভব নয়।
কিন্তু আগেকার, মানে এই ধরুন গত ৩০ বছর আগেও কিন্তু ঠিক এমনটা ছিল না।
আর তার আগেকার সমাজ আমাদের কি কি দিয়ে গেছে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বর্তমান সমাজে অনেক অল্প বয়স থেকেই ছাত্র ছাত্রীরা পেশাগত শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।
আজ আপনাদের এমনই একজন শিল্পীর কথা বলব যিনি সঙ্গীতচর্চা অনেক অল্প বয়স থেকে করলেও সামাজিক মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছেন মাত্র কিছুদিন আগে।
সঙ্গীত জীবনে তাঁর পরিবারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাতকাহনের সাক্ষাৎকারে আজ সঙ্গীতশিল্পী রুপা বিশ্বাস।
মামারবাড়িতে মানুষ তিনি। সঙ্গীতের সাথে হাতে খড়ি মাত্র ছয় বছর বয়স থেকে।
মামার বাড়ির সকলেই গানবাজনার সাথে যুক্ত ছিলেন। ফলে, পারিবারিক একটা শৈল্পিক ছায়া তাঁর উপর ছিলই।
গুরুমা মুনমুন ভট্টাচার্যের হাত ধরেই তিনি শিখতে শুরু করেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত।
দীর্ঘদিন তাঁর কাছেই চলে সঙ্গীত শিক্ষা। অংশগ্রহন করেছেন একাধিক মঞ্চ অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতায়।
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখেছেন শান্তনু রায়চৌধুরির কাছে।
এছাড়াও শিখেছেন সঙ্গীতশিল্পী শম্পা কুণ্ডুর কাছেও।
তিনি লোক সঙ্গীতের তালিম নেন শ্রী শুভেন্দু মাইতির কাছে।
বর্তমানে তিনি তাঁর নিজের দাদা শ্রী অসিত বিশ্বাসের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা গ্রহন করছেন।

মেয়েদের প্রথম জীবনে ‘ঘর বদল’ অবশ্যম্ভাবী।
বাবার ঘরে এক রকম জীবন কাটালেও স্বামীর ঘরে অনেক মেয়েরই বদলে যায় স্বপ্নগুলো। প্রথম জীবনের শিক্ষা, ইচ্ছে সব যেন হারিয়ে যায় সংসারের দোলাচলে।
কিন্তু এমনটা হয়নি শিল্পী রুপা বিশ্বাসের সাথে। বৈবাহিক জীবনে তিনি সাথে পেয়েছেন এমন এক পরিবারকে যারা সকলেই সঙ্গীত অনুরাগী।
স্বামী তরুণ কান্তি বিশ্বাস সুরকার এবং গীতিকার। তাঁর সুরে ও কথায় বেশ কিছু গান গেয়েছেন রুপা।
রুপা বলেন, “আমার স্বামী আমার অনুপ্রেরণা।“
বাংলা সঙ্গীত অ্যাকাডেমি, মধ্যমগ্রাম মেলা, পরিবেশ মেলা বিভিন্ন মঞ্চ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন রুপা।
তাঁর সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান ‘সঙ্গীতায়ন’।
গত দশ বছর ধরে অগন্য ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গীত শিক্ষা দিয়ে চলেছেন তিনি।
বললেন, আমি আমার নিজের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেছি, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত না শিখলে কোন গানই ভালো করে শেখা যায় না।আমার ছাত্র ছাত্রীদেরও আমি তাই বলি। এমনকি আমি তাদেরকেই গান শেখাই যাদের মা বাবারা তাঁদের সন্তানদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখাতে ইচ্ছুক। “
তাঁর ইউটিউব চ্যানেল Rupa Biswas Official.
অনেক দেরীতে সামাজিক মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া প্রসঙ্গে বললেন,
“ দেরীতে মিডিয়ায় এলেও, মানুষ কিন্তু আমার গান শুনছেন। এর জন্যে আমি অবশ্যই ধন্যবাদ জানাব সঙ্গীতশিল্পী মহুয়া ব্যানার্জীকে।
আমার প্রিয় কাজী সাহেবের গান। অনেকেই আমার গান শুনে আমাকে ফোন করে বলেন দিদি এই নজরুলগীতিটা শুনলাম,এই গানটা তো সেভাবে কেউ গায় না। ভালো লাগল খুব। তাই আমি চাই কিছু অল্পশ্রুত নজরুলগীতিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ে আসতে।“
একজন মহিলা শিল্পীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পরিবারের ভূমিকা কতটা? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,
“ একজন বিবাহিত মেয়ের কাছে সংসার সামলেও কিন্তু শিল্পচর্চা করা সম্ভব, যদি সংসারের কাজগুলো সবাই নিজের মত করে ভাগ করে নেয়। আমি সেই সমর্থন আমার পরিবারের থেকে পেয়েছি।তবে সর্বোপরি নিজের মধ্যে শেখার ইচ্ছে থাকাটা ভীষণ ভাবে জরুরী। “
Baah.. Bess valo laglo..