Satkahon – সবজান্তা তিন্নি – গল্প-৭| বন্দেমাতরম

Satkahon - সবজান্তা তিন্নি | বন্দেমাতরম

Satkahon – সবজান্তা তিন্নি | বন্দেমাতরম

বন্ধুরা, ১৮৮২ সালে আনন্দমঠে প্রকাশিত ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘বন্দেমাতরম’ তখন ছিল শুধুই গান।

জানো কি? মল্লার রাগে কাওয়ালি তালে যদু ভট্ট প্রথম এই গানে সুর দেন।

তিন বছর পর ১৮৮৫ সালে বালক কবি রবীন্দ্রনাথ সেই গানে সুর দেন দেশ রাগে।

প্রথমবার কলকাতার কংগ্রেস অধিবেশনে কবি সেই গান নিজ কণ্ঠে গেয়ে শোনান। কিন্তু তখনও বন্দেমাতরম শুধুই গান ছিল।

স্বাধীনতার দাবিতে আনন্দমঠের যুদ্ধক্ষেত্রে বঙ্গমাতার সন্তান দল ইংরেজদের বন্দুকের গুলি উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে।

কণ্ঠে তাঁদের দেশ বন্দনা ‘বন্দেমাতরম সুজলাং সুফলাং’। কিন্তু তা ছিল বইয়ের পাতায়।

বাস্তবের পটভূমিতে এই গান স্বাধীনতা সংগ্রামের শ্লোগান হয়ে উঠল এক নারী কণ্ঠে।

তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভগিনী সরলা দেবী। ঋষি বঙ্কিম রচিত এই গানের প্রথম দুই স্তবকের সুর করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, বাকি অংশের সুর সরলা দেবীর।

স্বদেশী আন্দোলনের সময় সুহৃদ সমিতির বক্তৃতা মঞ্চে সরলা দেবী শ্লোগান তুললেন ‘’বন্দেমাতরম’ … সেই শুরু… তারপর ক্ষুদিরাম বসু ফাঁসির মঞ্চে গেলেন ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনি তুলে। গান হয়ে উঠল শক্তি।

১৯৫০ সালে প্রেসিডেন্ট রাজেন্দ্র প্রসাদ ‘জনগনমন’ গানের পাশাপাশি ভারতবর্ষের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মর্যাদা দিয়েছিলেন ‘বন্দেমাতরম’ কেও।

কিন্তু প্রথম দুই স্তবক ছাড়া গানের অন্যান্য পংতি হিন্দুত্বকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ায় এই গানের বিরুদ্ধে মুসলিম বিরোধী ঝড় ওঠে।

রবীন্দ্রনাথ পরামর্শ দেন গানের প্রথম দুই স্তবককেই জাতীয় সঙ্গীত রুপে গাইবার জন্যে, বিদ্বেষের মুখে পড়তে হয় তাঁকেও।

অবশেষে ‘জনগনমন’ই হয়ে ওঠে ভারতবর্ষের জাতীয় সঙ্গীত। ‘বন্দেমাতরম’ মর্যাদা পায় জাতীয় স্তোত্রের। কিন্তু মানুষের হৃদয়ে মনে এই গান অনেকখানি জায়গা দখল করেছে একথা স্বীকার করেছেন স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী।

বন্ধুরা,জেনে রেখো বাংলা উপন্যাস থেকে জন্ম নেওয়া একমাত্র শ্লোগান ‘বন্দেমাতরম, এবং এই গানের নামে সুরেন্দ্রনাথ সমাজপতি প্রতিষ্ঠিত ‘বন্দেমাতরম সম্প্রদায়’ গানের নামে গঠিত পৃথিবীর একমাত্র সম্প্রদায়।।

Satkahon – সবজান্তা তিন্নি | বন্দেমাতরম | তথ্য সুত্র – আনন্দবাজার পত্রিকা | WIKIPEDIA

বন্দেমাতরম!

COPYRIGHT © 2020 SATKAHON

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *