Satkahon – সবজান্তা তিন্নি – গল্প-১০ | উস্তাদ আলি আকবর খান

Satkahon – সবজান্তা তিন্নি – গল্প-১০
বন্ধুরা অন্যতম শ্রেষ্ঠ সরোদবাদক উস্তাদ আলি আকবর খান-এর নাম শোনেনি এমন মানুষ মেলা ভার।
আজ তোমাদের জানাব তাঁর জীবনের কিছু সাধারণ অজানা গল্প।
মাত্র কুড়ি বছর বয়সে আলি আকবর যোধপুরের রাজার সভাশিল্পী হিসেবে যোগদান করেন। রাজা তাঁকে ‘উস্তাদ’ খেতাব দেন।
জানা যায়, রাজা যাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারেন তাই তাঁকে কখনো কখনো সারারাত সরোদ বাজাতে হয়েছে।
মঞ্চের বাইরে তিনি ছিলেন একদম সাধারণ মানুষ। গাড়ি চালাতে ভালবাসতেন তিনি। ছাত্রদের সন্তানের মত স্নেহ করতেন।
জানা যায়, তাঁর ভালোবাসা, স্নেহে ধন্য ছাত্ররা তাঁকে ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করত।
মোগলাই খাবার ছিল তাঁর পছন্দের। কলকাতার সিরাজের মটন বিরিয়ানি ছিল তাঁর প্রিয় পদ। এমনকি নিজে হাতে মাছ রান্না করতেন তিনি।
২০০৯ সালের ১৮ই জুন ছাত্রদের প্রশিক্ষন দিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই তাঁর শরীরে অবনতি দেখা যায়। ছাত্ররা কোনরকমে তাঁকে বিছানায় শুইয়ে দেয়।
উস্তাদ আলি আকবর বলেন গান বন্ধ না করতে। ‘দুর্গা রাগ’ গাইবার অনুরোধ করেন সকলকে। ছাত্ররা গান শুরু করে।
আর সেই গান শুনতে শুনতে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সরোদ বাদক উস্তাদ আলি আকবর খান আমাদের ছেড়ে সঙ্গীতের অনন্তলোকে পাড়ি দেন।

[ তথ্যসুত্রঃ কৌশিক রায় (উস্তাদ আলী আকবর খানের সুযোগ্য ছাত্র) ছবিঃ উইকিপিডিয়া ]
বাংলা ভাষা,বাংলা সংস্কৃতির মধ্যে থেকেও আমরা বাংলার মানুষকে বা সংস্কৃতিকে কতটুকু জেনেছি ? অনেক গুণী ব্যক্তিদের জীবন কাহিনী আমাদের অনেকেরই অজানা। সাতকাহন সেই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিয়ে আজ আপনাদের দরবারে।শুধু তাই নয় বাংলায় এমন অনেক কাজ হচ্ছে বা এমন অনেক নতুন প্রতিভা রয়েছে যারা প্রচারের অভাবে সামনে আসতে পারছে না। সাতকাহন তাদের জন্য একটা বড় জায়গা রেখেছে এই নিউজ পোর্টালে।বাংলা সংস্কৃতি বিকশিত হোক, পুরাতনকে সমাদর করার পাশাপাশি নতুন কেও বরণ করে নেওয়া হোক সমান ভালবাসায়। এই অঙ্গীকার নিয়েই সাতকাহনের জয়যাত্রা।
Team Satkahon