Satkahon – সবজান্তা তিন্নি – গল্প-৮ | ভারতের তোতা পাখি

Satkahon – সবজান্তা তিন্নি – গল্প-৮
বন্ধুরা, তোমরা কি জানো “ভারতের তোতা পাখি” কাকে বলা হয়?
দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির সভাকবি ছিলেন আমীর খসরু। তাঁর ভালো নাম ছিল আবুল হাসান ইয়ামিন আল-দিন মাহমুদ।
আমির খসরুর বয়স যখন মাত্র ৭ বছর, তখন তিনি বাবাকে হারান।
মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি কাব্যচর্চা শুরু করেন।তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তুহফাতুস সিগার’ প্রকাশিত হয় মাত্র ১৬ বছর বয়সে।
মধ্যযুগে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন আমীর খসরু। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, গায়ক, সুফি, দার্শনিক ও যোদ্ধা।
প্রধানত ফার্সি ও হিন্দি ভাষায় তিনি গান ও কবিতা লিখতেন।
মতভেদ থাকলেও তাকেই সেতার ও তবলা বাদ্যযন্ত্রের আবিস্কারক বলে মনে করা হয়। তাঁর হাত ধরেই ভারতীয় উপমহাদেশে গজল সঙ্গীতের প্রসার শুরু হয়।
আমীর খসরু কাওয়ালী সঙ্গীতের জনক।এমনকি কাওয়ালী তালটিও তাঁরই সৃষ্টি।
তাঁর হাত ধরেই মুসলিম সঙ্গীত ধারার খেয়াল গান ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করে এবং বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।এছাড়াও তারানা সঙ্গীত ধারা তিনি নিজে আবিস্কার করেন বলেই জানা যায়।
বিশিষ্ট গবেষক এ. জেড. এম. শামসুল আলমের মতে, “আমীর খসরুর হিন্দী রচনা সম্পর্কে বলা হয়, তিনি এক লক্ষ শ্লোক রচনা করেছিলেন এবং আরও রচনা করেছিলেন পহেলি (ধাঁ-ধাঁ, হেয়ালি) এবং দোহা শ্লোক যার কিছু কিছু আধুনিক কাল পর্যন্ত পৌঁছেছে।আলাউদ্দিন খিলজি ছাড়াও, আমীর খসরু ছিলেন দিল্লির ১১ জন শাসকের সমকালীন ব্যক্তিত্ব এবং ৭ জন সুলতানের দরবারের সংগীতজ্ঞ ও কবি।“
অসাধারণ গান ও কবিতা রচনার জন্য তিনি ভক্তদের কাছ থেকে উপাধি পেয়েছিলেন ‘তুত-ই-হিন্দ বা “ভারতের তোতা পাখি” হিসেবে।

[ তথ্য সুত্রঃ এ. জেড. এম. শামসুল আলম, মুসলিম সংগীত চর্চার সোনালী ইতিহাস | Wikipedia ]