Satkahon – সবজান্তা তিন্নি- গল্প-১১ | শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত, সামারাকুন ও রবীন্দ্রনাথ
Satkahon – সবজান্তা তিন্নি- গল্প-১১
আমরা সবাই জানি ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীত “জন-গন-মন” রচনা করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এমনকি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত “আমার সোনার বাংলা” গানটিও তাঁর রচনা।
কিন্তু অনেকেরই হয়ত জানা নেই শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীতটিতেও কবিগুরুর ভূমিকা রয়েছে। আজ জানাব সেই গল্প।
শ্রীলঙ্কার স্বনামধন্য সুরকার আনন্দ সামারাকুন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিতে আসেন ও কবিগুরুর সান্নিধ্য পান।
মতভেদ থাকলেও জানা যায় বিশ্বকবি রচিত একটি বাংলা কবিতার অনুবাদ করে তিনি লেখেন “নমো নমো মাতা।“
অনেকে বলেন লেখাটি শ্রী সমারাকুনের, সুরটি কবিগুরুর।
যাই হোক না কেন লেখা ও সুর দুইই যে কবিগুরুর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি তা আপনারা সঙ্গীতটি শুনলেই বুঝতে পারবেন।
১৯৫১ সালে গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে মনোনীত হয়।
গানের প্রথমাংশ “নমো নমো মাতা” নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল ১৯৫০ এর শেষ থেকেই।
শ্রীলঙ্কা সরকার ১৯৬১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সামারাকুনের অমত ও প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও গানটির প্রথম লাইনে পরিবর্তন আনে।
প্রথম লাইনটি বদলে “শ্রীলঙ্কা মাতা, আপা শ্রীলঙ্কা নমো নমো নমো নমো মাতা” করা হয়।
১৯৬২ সালের এপ্রিল মাসে সামারাকুন আত্মহত্যা করেন।
আজও অনেকে মনে করেন তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁর রচনায় হস্তক্ষেপ করায় তিনি মনকষ্টে স্বেচ্ছায় ইহলোক ত্যাগ করেন।
[ তথ্যসুত্রঃ উইকিপিডিয়া ]
বাংলা ভাষা,বাংলা সংস্কৃতির মধ্যে থেকেও আমরা বাংলার মানুষকে বা সংস্কৃতিকে কতটুকু জেনেছি ? অনেক গুণী ব্যক্তিদের জীবন কাহিনী আমাদের অনেকেরই অজানা। সাতকাহন সেই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিয়ে আজ আপনাদের দরবারে।শুধু তাই নয় বাংলায় এমন অনেক কাজ হচ্ছে বা এমন অনেক নতুন প্রতিভা রয়েছে যারা প্রচারের অভাবে সামনে আসতে পারছে না। সাতকাহন তাদের জন্য একটা বড় জায়গা রেখেছে এই নিউজ পোর্টালে।বাংলা সংস্কৃতি বিকশিত হোক, পুরাতনকে সমাদর করার পাশাপাশি নতুন কেও বরণ করে নেওয়া হোক সমান ভালবাসায়। এই অঙ্গীকার নিয়েই সাতকাহনের জয়যাত্রা।
Team Satkahon