Satkahon – সবজান্তা তিন্নি | গল্প-১৪ | আজাদ হিন্দ রেডিও
Satkahon – সবজান্তা তিন্নি | গল্প-১৪ | আজাদ হিন্দ রেডিও
বন্ধুরা, তোমরা কি জানো সুভাষ চন্দ্র বসু শুধুমাত্র একজন দেশপ্রেমিক, রাজনীতিবিদই নয়, তিনি ছিলেন একজন লেখক, সাংবাদিক,সম্পাদক ও সংবাদপত্র পরিচালকও!
ভারতবর্ষের স্বাধীনতার লড়াইতে বিশ্ববাসীকে সামিল করার উদ্দেশ্যে সুদূর জার্মানিতে বসে তিনি তৈরি করেন আজাদ হিন্দ রেডিও।
এই রেডিও স্টেশন থেকে ইংরাজি ভাষা ছাড়া আরও সাতটি ভাষায় অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হত।
এছাড়াও জার্মানবাসীদের জন্যে জার্মান ভাষাতেও অনুষ্ঠান প্রচারিত হত।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও বক্তৃতা দেবার জন্যে তিনি মাত্র তিনমাসের চেষ্টায় জার্মান ভাষা শিখেছিলেন।
১৯৪৪ সালের ৫ই জুলাই।
আজাদ হিন্দ রেডিওর সিঙ্গাপুর শাখা থেকে প্রথমবার মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে নেতাজী ‘জাতির জনক’ হিসেবে আখ্যা দেন।
সেই বছরই ২রা নভেম্বর নেতাজী আজাদ হিন্দ রেডিও থেকে প্রস্তাব দেন ‘জন-গন-মন’ হবে ভারতবর্ষের জাতীয় সঙ্গীত।
ওইদিনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ‘হিন্দি’ হবে ভারতের জাতীয় ভাষা।
‘জয় হিন্দ’ হবে ভারতের জাতীয় সম্ভাষণ এবং সুভাষচন্দ্র পরিচিত হবেন ফুয়োরার নামে। জার্মান শব্দ ফুয়োরারের বাংলা প্রতিশব্দ হল ‘নেতাজী’।
আজাদ হিন্দ রেডিওর নিপ্পন শাখার সদর দপ্তর ছিল টোকিওতে।নেতাজী এই স্টেশন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন হরিপ্রভা মল্লিক নামে এক বঙ্গতনয়াকে।
তখনকার মত সময়ে একজন মহিলা রেডিও স্টেশন পরিচালনা করছেন এ ছিল এক বিরল ঘটনা।
১৮৯০ খিস্টাব্দে বাংলাদেশের ঢাকা শহরে জন্মগ্রহন করেন হরিপ্রিয়া। ১৯১২ খ্রীস্টাব্দ থেকে তিনি জাপানবাসী।
১৯১৫ খ্রী তিনি তাঁর আত্মজীবনী রচনা করেন।
নেতাজী সেই আত্মজীবনী পড়ে উদ্বুদ্ধ হন ও হরিপ্রিয়াকে দেশের সেবায় নিয়োজিত হবার আবেদন জানান।
নেতাজীর ডাকে সাড়া দিয়ে হরিপ্রিয়া ১৯৪১ সালে আজাদ হিন্দ রেডিওর নিপ্পন শাখায় যোগদান করেন।
নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ঐকান্তিক চেষ্টায় ও সুদক্ষ নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ রেডিও পরিচালিত হত।
তাই একথা বলাই যায়, নেতাজী ছিলেন ভারতীয় বেতারের জনক।
জয় হিন্দ
তথ্যসুত্রঃ জ্যোতির্ময় ধর,বাঁধ ভাঙার আওয়াজ।
বাংলা ভাষা,বাংলা সংস্কৃতির মধ্যে থেকেও আমরা বাংলার মানুষকে বা সংস্কৃতিকে কতটুকু জেনেছি ? অনেক গুণী ব্যক্তিদের জীবন কাহিনী আমাদের অনেকেরই অজানা। সাতকাহন সেই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিয়ে আজ আপনাদের দরবারে।শুধু তাই নয় বাংলায় এমন অনেক কাজ হচ্ছে বা এমন অনেক নতুন প্রতিভা রয়েছে যারা প্রচারের অভাবে সামনে আসতে পারছে না। সাতকাহন তাদের জন্য একটা বড় জায়গা রেখেছে এই নিউজ পোর্টালে।বাংলা সংস্কৃতি বিকশিত হোক, পুরাতনকে সমাদর করার পাশাপাশি নতুন কেও বরণ করে নেওয়া হোক সমান ভালবাসায়। এই অঙ্গীকার নিয়েই সাতকাহনের জয়যাত্রা।
Satkahon.in