Satkahon – সবজান্তা তিন্নি -গল্প-১৩ | কবিকণ্ঠহার
Satkahon – সবজান্তা তিন্নি -গল্প-১৩ | কবিকণ্ঠহার
“এ ভরা বাদর, মাহ ভাদর শুন্য মন্দির মোর।”
বন্ধুরা, তোমরা কি জানো এই পদ কার রচনা? এই পদ রচনা করেন মৈথিলী কবি বিদ্যাপতি।
তোমরা সবাই জানো চৈতন্যদেব বৈষ্ণব ধর্মের প্রবক্তা। কবি বিদ্যাপতির জন্ম হয় শ্রী চৈতন্যদেবের অনেক আগে।
বিদ্যাপতি কিন্তু বৈষ্ণব ছিলেন না। তিনি ছিলেন শিবের উপাসক।
তবে, বিদ্যাপতির অধিকাংশ পদেই রাধা-কৃষ্ণের প্রেম ও বিরহের কাহিনী রয়েছে। শ্রী চৈতন্যদেব স্বয়ং তাঁর কাব্যে মুগ্ধ হয়েছেন।
বিদ্যাপতি মৈথিলী ভাষায় তাঁর কাব্য রচনা করেছিলেন কিন্তু পরে তাঁর পদগুলি বাংলা, অসম, ওড়িশা, নেপাল প্রভৃতি অঞ্চলে প্রসারিত হলে,স্থানীয় ভাষার সাথে মিশ্রিত হয়ে এক নতুন ভাষার জন্ম হয়, যাকে আমরা চিনি ব্রজবুলি ভাষা নামে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ভাষায় ‘ভানু সিংহের পদাবলী’ রচনা করেন।
তিনি বিদ্যাপতি রচিত ”এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর,এ ভরা বাদর, মাহ ভাদর শুন্য মন্দির মোর” পদে সুর দেন।
কিন্তু কবিগুরু প্রথম সারির সুর করেননি তাই গানটি দ্বিতীয় সারি থেকেই গাওয়া হয়।
রাজা শিব সিংহ কবি বিদ্যাপতিকে কবিকণ্ঠহার [ KAVIKANTHAHAR – VIDYAPATI] উপাধিতে ভূষিত করেন।
বাংলা ভাষা,বাংলা সংস্কৃতির মধ্যে থেকেও আমরা বাংলার মানুষকে বা সংস্কৃতিকে কতটুকু জেনেছি ? অনেক গুণী ব্যক্তিদের জীবন কাহিনী আমাদের অনেকেরই অজানা। সাতকাহন সেই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিয়ে আজ আপনাদের দরবারে।শুধু তাই নয় বাংলায় এমন অনেক কাজ হচ্ছে বা এমন অনেক নতুন প্রতিভা রয়েছে যারা প্রচারের অভাবে সামনে আসতে পারছে না। সাতকাহন তাদের জন্য একটা বড় জায়গা রেখেছে এই নিউজ পোর্টালে।বাংলা সংস্কৃতি বিকশিত হোক, পুরাতনকে সমাদর করার পাশাপাশি নতুন কেও বরণ করে নেওয়া হোক সমান ভালবাসায়। এই অঙ্গীকার নিয়েই সাতকাহনের জয়যাত্রা।
Satkahon.in
COPYRIGHT © 2020 SATKAHON