Riddhi Bandyopadhyay | Sunday Exclusive | Satkahon

Riddhi Bandyopadhyay

Riddhi Bandyopadhyay | Sunday Exclusive | Satkahon

বাংলা কিংবা বাংলা সাহিত্য, যা নিয়ে আমরা হইচই এর অন্ত রাখি না, সেই আমরাই কতটুকু সম্মান দিয়েছি আমাদের বাংলা সংস্কৃতিকে তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়।

ঋষি-মনীষীর এই বাংলা। কিন্তু তাঁদের আমরা কতটাই বা মনে রেখেছি?

আজও কিছু মানুষকে ‘সহজ পাঠ’ কার লেখা প্রশ্ন করলে উত্তর আসে ‘বিদ্যাসাগর’।

এ তো আমাদেরই লজ্জা।

এমনকি যারা সেই সংস্কৃতি, শিক্ষাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রতিদিন আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন, আমরা হয়ত মান দিতে পারিনি সেই মানুষদেরও।

একরাশ মান অভিমান নিয়ে সাতকাহনের সাক্ষাৎকারে আজ পঞ্চকবির কন্যা ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়…..

পঞ্চকবির গান নিয়ে বিভিন্ন ধরণের কাজ আপনি এতদিন ধরে করে চলেছেন,সকলের থেকে ভিন্ন এক কণ্ঠস্বর,

গায়কী নিয়ে, তাঁদের কাজকে, তাঁদেরকে মানুষের মনে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যেশ্যে।

এই ২৫ বছরের পেশাগত জীবনে সঙ্গীতজগত থেকে কি পেয়েছেন?

শুধু সংগীতজগত নয়, আমি আমার রাজ্যের থেকেই প্রাপ্যটুকু পাইনি।

আসলে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র যেভাবে তাঁদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছে আমরা তার কিছুই করতে পারিনি।

 বরং যারা করতে চেষ্টা করছে কিছু মানুষ তাঁদের নানা ভাবে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন।

আমার নিজের রাজ্যে আমার নাম বাদ দিয়ে এমন শিল্পীকে মঞ্চে সুযোগ দেওয়া হয় যিনি গানটির গলা টিপে হত্যা করেন।

রাতের পর রাত, দিনের পর দিন আমি চোখের জলে বালিশ ভিজিয়েছি।

করোনা সব বদলে দিয়েছে।

 করোনা বুঝিয়ে দিয়েছে দলবাজি করলে খরগোশের মত হয়ত কিছু এগিয়ে যাওয়া যায় কিন্তু কচ্ছপের মত জেতা যায় না।

তবে আজ আমার কোন কষ্ট নেই।

আনন্দ পুরষ্কারে আমি পঞ্চকবির গান গেয়েছি।

 ডোভারলেন মিউসিক কনফারেন্স, যারা শুধু শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান করেন, অতুল্প্রসাদ সেনের ১৫০ বছরে তাঁরা আমাকে গান গাইতে আমন্ত্রণ করেছেন।

জাতীয় স্তরে অতুলপ্রসাদ সেনের গান গেয়েছি ক্যাডবেরি কোম্পানির জন্য। সেটি খুবই জনপ্রিয় হয়।

আমি চিরকাল চেয়েছি নিজেকে শিল্পী হিসেবে এমন পদে উত্তীর্ণ করতে যার প্রজ্ঞা আছে।

বিদেশে বঙ্গ সন্মেলনে গান গেয়েছি, এছাড়াও বিদেশে অন্যান্য বহু অনুষ্ঠান করেছি আর করছিও।

Riddhi Bandyopadhyay

এখন তো সবাই versatile শিল্পী…

হ্যাঁ। এখন, আমাকে সব পারতে হবে তবেই মানুষ আমার গান শুনবেন এমন মানসিকতা তৈরি হয়েছে।

আগে শিল্পী বদলাবে তবে তো শিল্প বদলাবে।

এই যে গানের বাতাবরণ বদলে গেছে তার জন্যে দায়ী কিছু আত্মকেন্দ্রিক মানুষ ও মধ্যমেধা।

আমি বড় হয়েছি রবীন মজুমদার, কমল হাজারিয়া, আঙুরবালা, ইন্দুবালা, কানন দেবী, কৃষ্ণ চন্দ্র দের গান শুনে।

তাই চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি কোনটা কার কণ্ঠস্বর।

যা এখন অনেক শিল্পীই পারবেন না।

ছোটবেলা থেকেই কি গান ভালোবাসেন?

 মফস্বলে বড় হয়েছি আমি।

বাবা গান ভালবাসতেন তাই ৩ বছর বয়স থেকেই গান শেখার শুরু আমার।

বাবা ইংরাজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন এবং মা ছিলেন কোন্নগর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।

শ্রীমতি দীপালি পাল মজুমদারের কাছে আমার প্রথম গান শেখা শুরু।

চন্দননগরে বঙ্কিম বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি শাস্ত্রীয় সংগীত শিখেছি।

পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় বাবা আমাকে মঞ্জু গুপ্ত-র কাছে নিয়ে আসেন। তাঁর কাছে কিছুদিন গান শিখেছি কিন্তু তার কিছুদিনের মধ্যেই দিদি আমাদের ছেড়ে চলে যান।

মাধ্যমিক পাস করার পর কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়, মায়া সেনের কাছে শিখতে শুরু করলাম নতুন করে।

উচ্চমাধ্যমিকে গান একটা পাঠ্য বিষয় ছিল। সেই বিষয়ে আমার স্কুলে আমি প্রথম হই।

খুব ইচ্ছে ছিল গান নিয়ে বিশ্ব ভারতীতে পড়বো।

কিন্তু খুব রক্ষনশীল পরিবারে বড় হয়েছি, বাবা চাননি আমি একা মেয়ে বাইরে থেকে পড়াশুনা করি।

 তাই লেডি বেব্রোন কলেজে ইতিহাস নিয়ে ভর্তি হলাম।এর পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

সেই সময় কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায় ও মায়া সেনের পাশাপাশি শৈলেন দাস, বানী ঠাকুর এবং চণ্ডীদাস মালের কাছে গান শিখেছি।

Riddhi Bandyopadhyay

তখন থেকেই কি মঞ্চ অনুষ্ঠান করছেন পেশাগত শিল্পী হিসেবে?

না।

স্নাতকোত্তর পাস করার পর ইতিহাসের প্রভাষক হিসেবে কাজ করেছি বেলুড় লালবাবা কলেজে।

সকালে কলেজ আর বিকালে গান শিখতাম।

দুরদর্শনেও গান গাইতাম।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমির আমি স্কলার ছিলাম।

অ্যাকাডেমি সুত্রে আমার পরিচয় হয় সুশীল চট্টোপাধ্যায়ের সাথে।

পরবর্তীকালে ওনার কাছেও ব্যক্তিগত ভাবে আমি গান শিখেছি।

আমাকে খুবই স্নেহ করতেন সঙ্গীতগুরু শৈলেন দাস।

জেঠু বলতাম আমি ওনাকে। জেঠুর সাথে ও আমার অনান্য গুরু-গুরুমার আদেশে সেই সময় অনেক মঞ্চ অনুষ্ঠান করেছি, কিন্তু পেশাগত শিল্পী হিসেবে অবশ্যই নয়।

পেশাগত শিল্পী হিসেবে আমার আত্মপ্রকাশ নাট্যসঙ্গীতের পুরোধা ব্যক্তি দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বিবাহের পর।

তাঁর সাথেও আমার গান শেখার সুত্রেই পরিচয়, একাধারে তিনি আমার স্বামী অন্যধারে গুরু।

একসাথে নাটকের গানে কাজ করতে করতে কিছু মানুষের কাছে আমার পরিচয়টাও নাটকের গানের শিল্পী হিসেবে হয়ে ওঠে।

মানুষ প্রায় ভুলতেই বসেছিলেন যে আমি দীর্ঘদিন কাব্যগীতি শিখেছি ও গাই।

২০১২-১৩ থেকে আমি পঞ্চকবির গান নিয়ে একক ভাবে কাজ করা শুরু করি।

সব সময় আমি ভাবতাম রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত অনেকেই গাইছেন কিন্তু আমার গুরুরা চলে যাবার পর রজনীকান্ত সেন,হিমাংশু দত্ত, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, দিলীপকুমার রায় ও অতুল্প্রসাদ সেনের গান খুবই অবহেলিত এবং মানুষ বিস্মৃতপ্রায় হচ্ছেন।

 হ্যাঁ, কিছু মানুষ অবশ্যই চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাঁরা নতুন প্রজন্মকে ছুঁতে পারেননি। কারণ তাঁদের গানের মধ্যে একটা প্রাচীনত্ব ছিল।

Riddhi Bandyopadhyay

 কি ধরণের নতুনত্ব শ্রোতারা আপনার থেকে পেলেন?

অনুকরণ নয়, অনুসরণ।

কারুর মত করে গান গাওয়া উচিত নয়, এটা আমাকে প্রথম শেখালেন দেবজিৎ।

আমি কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়ের অক্ষম অনুকরণ করার চেষ্টা করতাম। দেবজিৎ আমাকে বলেছিলেন,

যারা একাবার কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়ের গান শুনেছেন তাঁরা কিন্তু দ্বিতীয় কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়ের গান শুনবেন না।

তুমি তোমার নিজস্ব একটা নতুন ঘরানার সৃষ্টি করো।

সেই কথা একেবারে আমার মনে বিঁধে গেলো। ১৯৯৮ সাল থেকে আমি নিজের গায়কীতে মন দিলাম।

গায়কী আর ঘরানার বিরোধটা আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি সেটা ভীষণ ভুল।

রবীন্দ্রনাথের গান মানেই দাঁত চেপে ধাক্কা দিয়ে গাইতে হবে এমনটা নয়।

রবীন্দ্রনাথ নিজে কখনো সেভাবে গাইতেন না।

আমি যে ভাবে কথা বলি, সেই ভাবেই আমাকে গান গাইতে হবে। সেই বিষয়টা আমি বুঝলাম।

পঞ্চকবির জীবন নিয়ে টুকরো টুকরো কথা আর তাঁদের গান আমি আমার নিজস্ব ভঙ্গিমায় উপস্থাপন করলাম।

২০১৪ সালে আমার একক সংগীত অনুষ্ঠান পঞ্চকবির গান অনুষ্ঠিত হল। সঙ্গে ছিলেন বরেণ্য অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

মানুষ পছন্দ করলেন, প্রশংসা করলেন, ভালোবাসলেন।

অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন, এখন অনেকেই কাব্যগীতি গাইছেন, কিন্তু ভুল গাইছেন। আপনি কেন কিছু বলেন না। আমি একটাই কথা বলি, ‘আমার উপর নাই ভুবনের ভার’

ইউটিউব থেকে তুলে গান গাওয়া আর শিখে গান গাওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।

 আপনার সমসাময়িক অনেকেই, পরিচিত সঙ্গীতশিল্পী, রিয়েলিটি শো এর বিচারকের আসনে..

রিয়েলিটি শো নিয়ে আমার খুব আপত্তি। এর মধ্যে রিয়েলিটি কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।

কে কিভাবে কোন আসন পাচ্ছেন সে কথা অনেকেই জানেন।

একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের এর বিচারকের আসনে আমি ছিলাম। দেখলাম যার গান নমিনেশন এ রয়েছে তিনি নিজেই বিচারকের আসনে বসে রয়েছেন।

তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ২০১৯ সালে আমি নিজেই সেই বিচারকের পদ ত্যাগ করি।

আমি মফস্বলের মেয়ে। সংগীত জগতকে যখন দূর থেকে দেখেছি একরকম মনে হয়েছে, যখন কাছে এসেছি, দেখলাম এখানে সবাই মুখোশ পরে থাকে।

এক এক মানুষের এক এক চরিত্র।

এই সঙ্গীতজগতে যেটুকু জায়গা মানুষ আমাকে দিয়েছেন সেটা আমার একার লড়াইতে।

 কারুর হাত ধরে নয়।

কাউকে ভয় পাই না, আমি স্পষ্ট বক্তা। আমার পুত্র এই সঙ্গীতজগতের কোন দিকপাল হবে না,হয়ত বাবা মা-র প্রতি হওয়া অবহেলা দেখেই সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েহে।

তাই কারুর কাছে চাটুকতা করে আমার কোন লাভ নেই। কিছু হারাবার ভয়ও নেই।

অন্যায় এর বিরুদ্ধে আমি চিরকাল কথা বলে এসেছি, আগামী দিনেও বলব।

Riddhi Bandyopadhyay

সুন্দরী নারী অর্থেই শারিরিক আদান প্রদানের মাধ্যমে সহজে কাজ পাওয়া যায়।

এমন একটা ধারণা অধিকাংশ মানুষের।

বিশেষ করে একটি মেয়ে স্বনামে জায়গা করে নিলে তাকে সে কথা সবার আগে শুনতে হয়। সেক্ষেত্রে স্পষ্ট বক্তা ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলবেন?

(হাসি)।

যাঁদের আত্মাভিমান আছে, যারা নিজের চেষ্টায় কিছু করে বড় হতে চায় তাঁদের এগুলো শুনলে খুব কষ্ট হয়। এই ধরণের বাঁকা কথা অনেক শুনেছি, প্রথম দিকে খুব কষ্ট হত।

এখন হয় না।

আমাকে একজন প্রথিতজশা শিল্পী সবার মাঝখানে চিৎকার করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তুমি আবার বিদেশে যাচ্ছ? প্রত্যেক জায়গার ভিসা পাও কি করে বলত?

কি ভঙ্গিমায় তিনি এই প্রশ্ন করেছিলেন সে কথা আলাদা করে আর বলতে চাই না।

আসলে এই ঈর্ষা, এই বিদ্রূপ অনেককে দুর্বল করে দেয়। যারা নিজেকে শক্ত করে ধরে রাখতে পারে তারা জিতে যায়।

Riddhi Bandyopadhyay

আপনার কণ্ঠ যারা শুনতে চাইছেন সিনেমার পর্দায়, তাঁদের কি বলবেন?

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত ‘নেকলেস’ ছবিতে আমি প্রথম কাজ করি।

কিছুদিনেই মুক্তি পাবে তাঁরই অভিনীত ছবি ‘দত্তা’।

 সেখানে আমি একটি রজনীকান্ত সেনের গান গেয়েছি।

আগামী দিনের কি পরিকল্পনা?

ব্যক্তিগত ভাবে এই বছর দেশে বিদেশে আমার অনেক অনুষ্ঠান আছে।

এছাড়া ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় মিউজিক অ্যাকাডেমি ও আমার ছাত্র-ছাত্রীদের ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন।

এই বছর আমাদের অ্যাকাডেমির বেহালা, কোন্নগর, হাওড়া, সলটলেক, শান্তিনিকেতন শাখা শুরু হচ্ছে।

আমি চাই নতুন শিল্পী জন্ম নিক ভালো গান শিখে আর তারা যেন আমার এই পঞ্চকবির ধারাকে বজায় রাখেন।

COPYRIGHT © SATKAHON

3 thoughts on “Riddhi Bandyopadhyay | Sunday Exclusive | Satkahon”

  1. ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়

    তোমার জীবনের পুরো জার্নি টা উঠে এল সাবলীলভাবে। চমৎকার লেগেছে পড়তে কারণ পোর্টালের প্রেজেন্টেশনের ভঙ্গীটি খুব রিডার ফ্রেন্ডলি। আরো শুভেচ্ছা রইল ভবিষ্যতের জন্য।

  2. আমি ইন্দিরা মুখপাধ্যায়ের “পোর্টালের প্রেজেন্টেশনের ভঙ্গীটি খুব রিডার ফ্রেন্ডলি” এই মতের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ” শুধু সংগীতজগত নয়, আমি আমার রাজ্যের থেকেই প্রাপ্যটুকু পাইনি” মন্তব্যটি হতাশা প্রসূত। আমি ওনার গান একাধিক বার শুনেছি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। সঙ্গীত জগতে ঋদ্ধি একটি পরচিত নাম। সরকারী অনুষ্ঠানে শ’য়ে শ’য়ে অল্প পরিচিত গায়ক গায়িকা আমন্ত্রণ পান আবার অনেক প্রতিষ্ঠিত শিল্পী আমন্ত্রণ পান না। এটা যদি হতাশার কারণ হয় তবে তা ‘ছেলেমানুষি’। যুগের সঙ্গে, নতুন প্রজন্মের পছন্দ পাল্টেছে (এটাই স্বাভাবিক)। ফলে “মধ্যমেধার” গায়ক/গায়িকা বা শ্রোতার জন্য সঙ্গীত জগতের মান নিম্নমুখী হচ্ছে, ইত্যাদি মন্তব্য আসলে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা। নিজেকে সময়ের সঙ্গে বদলাতে না পারলে কালের নিয়মেই তা অবলুপ্ত হয়। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দিকে দেখুন। অতীতকে পাথেয় করে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকের গান হচ্ছে। সেগুলি জনপ্রিয়ও হচ্ছে। It is thriving with life.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *