PADMAPALASH – সাক্ষাৎকারে পদ্মপলাশ | SATKAHON

PADMAPALASH - সাক্ষাৎকারে পদ্মপলাশ | SATKAHON

PADMAPALASH – সাক্ষাৎকারে পদ্মপলাশ | SATKAHON

জি বাংলা সারেগামাপা বিজয়ী পদ্মপলাশ।

কীর্তন সাধক পদ্মপলাশ।

প্রতিযোগিতার মঞ্চ তাঁকে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছে কিন্তু তার বহু সময় আগে থেকেই তিনি মানুষের হৃদয়ে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।

তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলার আদি সঙ্গীতের সাথে কিভাবে মিশে যেতে পারে রবীন্দ্রনাথের গান… কিভাবে এক সাথে পরিবেশিত হতে পারে নজরুলগীতি ও বৈষ্ণব পদাবলী।

মা সরস্বতীর আশীর্বাদ তাঁর কণ্ঠে।

শুধু শিল্পী হিসেবেই নন, মানুষ হিসেবেও তিনি একেবারেই অন্যদের থেকে আলাদা।

বিদ্যা থেকে বিনয় আর গুরুর থেকে আশীর্বাদ নিয়ে এখন নতুন পথ চলা শুরু তাঁর।

সাতকাহনের সাক্ষাৎকারে জানালেন তাঁর জীবনের নানা অজানা কথা… আগামী দিনের পরিকল্পনা…

PADMAPALASH - সাক্ষাৎকারে পদ্মপলাশ | SATKAHON
PADMAPALASH – সাক্ষাৎকারে পদ্মপলাশ | SATKAHON

প্রথমেই আপনাকে জানাই অফুরান শুভেচ্ছা।

যেকোনো শিল্পীর শৈল্পিক সত্ত্বা তাঁর পরিবারের উপর নির্ভর করে।

একথা সকলেই জানে আপনি সাংগীতিক পরিবারে বড় হয়েছেন।

আপনার মুখে শুনব আপনার পরিবারের কথা।

ধন্যবাদ।

আমার ঠাকুরদাদার মা গান করতেন। ঠাকুরদাদারা ছিলেন নয়-ভাইবোন।

তাঁদের মধ্যে গানবাজনার প্রতি অনুরাগ একমাত্র ঠাকুর দাদাই পেয়েছিলেন।

   তখন আমাদের পরিবারে সেইরকম অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ছিল না।

ঠাকুরদাদা(কানাইলাল হালদার) পাড়ায় পাড়ায় মনোহারি (রঙ, সিন্দুর,আলতা, মেয়েদের প্রসাধনী সামগ্রী) বিক্রি করতেন।

গান বাজনা ভীষণ ভালবাসতেন তাই কবিগান শিখেছিলেন এবং কবিগান করতেন।

ঠাকুরদাদার যখন ৫৫-৬০ বছর বয়স তখন গাথানি রেকর্ড কোম্পানি থেকে তাঁর একটা রেকর্ড বের হয়।

এক বন্ধুর সহযোগিতায় তিনি সেই সময় আকাশবানীতেও সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন।

অর্থনৈতিক অবস্থা সামলাবার জন্য আমার বাবা কাকারা ছোটবেলায় পড়াশুনার পাশাপাশি জমিতে চাষ-বাস ও করতেন।

আর্থিক সামর্থ্য বেশী ছিল না কিন্তু গানবাজনা এমনভাবেই তাঁর রক্তে মিশে গিয়েছিল যে তখন যাত্রা দলে,কীর্তন দলে বাবা ক্ল্যারিওনেট, ভায়োলিন,বেহালা বাজাতেন।  

বাবা(মানিক চন্দ্র হালদার) পণ্ডিত ভি জি যোগের ছাত্র। পণ্ডিত তন্ময় বোসের কাছেও তালিম নিয়েছেন।

পদ্মপলাশ লোচন হরি হালদার, দাদু নাম রেখেছিলেন। ছোট করে… পদ্মপলাশ।

আপনার গানবাজনার প্রেক্ষাপটে দাদুর অবদান অনেক।

নিশ্চয়ই। আমার বয়স তখন পাঁচ বছর।

আমার মনে আছে, আমি দাদুর কোলে বসে ছিলাম। তখন দাদুকে বললাম দাদু তুমি আমাকে গান বাজনা কিছু শেখাবে না? আমার গানবাজনা খুব ভালো লাগে।

দাদু বলেছিলেন, কি শিখবি বল?

তখন আমাদের আশে পাশে অনেক কীর্তন হত। আর আমি ঠাকুমা দাদুর কোলে করে ওই কীর্তন শুনতে যেতাম।

তাই কীর্তনের প্রতি তখন থেকেই একটা আগ্রহ আমার তৈরি হয়।

দাদু যেহেতু কবিগান করতেন সেহেতু আধ্যাত্মিকতা বা পৌরাণিক বিষয়, ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ার রীতি নীতি আমাদের বাড়ীতে ছিল।

ফলে সেই থেকেই আমার কীর্তনের প্রতি আগ্রহ।

তাই, আমি দাদুকে বললাম আমি কীর্তন শিখব।

দাদু মনোহারি বিক্রি করে যতটুকু উপার্জন করতেন, তাই দিয়েই আমার গুরুদের দক্ষিণা দিতেন।

কীর্তন শেখা কার কাছে শুরু হল?

কীর্তন শেখা একদম প্রথম শুরু হয় আমাদের লক্ষীকান্তপুরেই গ্রাম্য এক কীর্তনীয়া স্বর্গীয় প্রনব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

বাবা যার দলে বেহালা বাজাতেন তিনি কীর্তনিয়া অরুণ চট্টোপাধ্যায়। ওনার কাছেও আমি বেশ কিছুদিন শিখেছি।

এরপর আমার তখন ১১ বছর বয়স। আমাদের বাড়ির কাছাকাছি এক জায়গায় সুমন ভট্টাচার্যের কীর্তন হয়।

তখন সারা রাত ব্যাপী কীর্তন অনুষ্ঠান হত।

আমি কাকার সাথে সেই অনুষ্ঠান শুনতে যাই।

রাত ১২ টা বাজে, জেগেই বসে আছি ওনার গান শুনব বলে।

অবশেষে ওনার সেই গান শুনে আমার কীর্তনের প্রতি এবং ওনার প্রতিও এমন একটা ভালোবাসা জন্মে গেল যে মনে মনে ঠিক করেছিলাম যদি শিখতেই হয় তাহলে ওনার কাছেই কীর্তন শিখব, কারণ উনিই আমার মনের খোরাকটাকে পূর্ণ করতে পেরেছেন।

কীর্তনের মধ্যে রবীন্দ্রসঙ্গীত, ভজন, নজরুলগীতি, ওইভাবে এক একটি পদাবলীর সাহিত্যিক ব্যাখ্যা শুনে আমি মুগ্ধ।

আমি ওনার কাছে গেলাম। বললাম আমি আপনার কাছে গান শিখতে চাই।

কিন্তু উনি তখন কিছুতেই শেখাবেন না।

বছরের পর বছর পার করে আমার যখন ১৪ বছর বয়স তখন উনি শেখাতে রাজি হলেন।

উনি বললেন, বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্য জানতে গেলে আমাকে গুরু দীক্ষা নিতে হবে।

ওনার কথা মত বরানগর পাঠ বাড়ি আশ্রম থেকে আমি শ্যামানন্দ দাস বাবাজীর কাছে দীক্ষা নিলাম এবং তার পর সেই ১৪ বছর বয়স থেকে এখনও আমি তাঁর ছাত্র।

আপনি তো পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছেও সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন…

হ্যাঁ। আসলে ছোটবেলা থেকেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি আমার বিশাল টান আছে।

“সুরে ও বানীর মালা দিয়ে” গুরুজীর কণ্ঠে রেডিওতে শুনেছিলাম। ভগবানের চোখে দেখি আমি ওনাকে।

বাবা তন্ময় বোসের ছাত্র ছিলেন।

বাবার হাত ধরে যখন ওনার কাছে যেতাম তখন পণ্ডিতজীর সান্নিধ্যে প্রদীপ হালদার বলে একজনের কাছে আমার তালিম নিতে যাওয়া এবং পণ্ডিত অনল চট্টোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ। ওনার কাছে এখনও শিখছি।

আমি দাদা বলি, ভীষণ স্নেহ করেন আমাকে উনি। দাদাকে একদিন বললাম,

দাদা আমি পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে শিখতে চাই, উনি আমার আদর্শ।

তখন দাদার পরামর্শে ২০১৫ সালে আমি পণ্ডিতজীর কাছে Aprrittiation class –এ ভর্তি হই।

এখনও আমি ওনার ছাত্র।

PADMAPALASH - সাক্ষাৎকারে পদ্মপলাশ | SATKAHON
PADMAPALASH – সাক্ষাৎকারে পদ্মপলাশ | SATKAHON

বাংলার আদি সঙ্গীত কীর্তন। এই আদি সঙ্গীতের ধারা নিয়ে এগিয়ে যাবার লড়াই কতটা কঠিন?

বাংলায় মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেবের জন্মের ৩০০ বছর আগে কীর্তনের আবির্ভাব।

মহাপ্রভুর পূর্ববর্তী জয়দেব, বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস ও মহাপ্রভুর পরবর্তী যেমন গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস এমনকি কাজী নজরুল ইসলাম পর্যন্ত হিসেব করলে কীর্তনের ইতিহাস প্রায় ৮০০ বছরের বেশী।

যে গান ৮০০ বছর ধরে বিরাজ করছে তাহলে সেই গানের মধ্যে নিশ্চয়ই এমন কিছু আছে যা বাঙালীরা বুকে করে আগলে রেখেছেন বা রাখতে চান।

সেই গান নিয়ে আমার এগোনো।

লড়াই তো বড়ই কঠিন কারণ এখন বড়ই সস্তার কথা দিয়ে গান তৈরি হয়।

অতি সস্তা শব্দচয়নে গান হিট করাবার একটা প্রয়াস চলছে।

কিন্তু আমার মনে হয়, যা বাংলার চিরাচরিত ঐতিহ্য,সংস্কৃতি যাকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ,কাজী নজরুল ইসলাম মাথায় করে রেখেছেন সেই গানকে যদি আমি বিশ্বের দরবারে নিয়ে যেতে পারি তাহলে আমার নিজের একটা আলাদা পরিচয় তৈরি হবে।

লড়াই আছেই। কারণ এত চাকচিক্যের মধ্যে আমি আমার গানকে কিভাবে ফুটিয়ে তুলবো তা আমার গুরুদেরই আশীর্বাদ।

এতদিন সারেগামাপা এবং তার বাইরে আপনারা পদ্মপলাশকে যতটুকু শুনেছেন সবই আমার গুরুদের আশীর্বাদ।

আর আমি মনে করি সারেগামাপার মঞ্চে আমার নয়, জয় হয়েছে কীর্তনের,সাহিত্যের, বাংলার।

আপনার এক একটি পালায় আপনি শ্রোতাদের সাথে খুবই সাধারণ ভাবে কখনো মজা করে, কখনো আনন্দ করে কথা বলতে বলতে কীর্তন পরিবেশন করেন…

সেই কারণেই কি যেকোনো মানুষ আপনাকে সহজে গ্রহণ করতে পারেন?

আমার যখন ৭ বছর বয়স তখন থেকে আমি মঞ্চে কীর্তন পরিবেশন করছি।

ফলে সামান্য হলেও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি।যেহেতু অন্য গানের দিকে মানুষের ভীষণ ভাবে ঝোঁক, সেখান থেকে কিভাবে গানটা পরিবেশন করলে মানুষের কাছে তা চমকপ্রদ বিষয় হবে সেটাই আমি চেষ্টা করি। অবশ্যই কীর্তনের পবিত্রতাকে বজায় রেখে…

আমি চেষ্টা করেছি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে কীর্তন পরিবেশন করার যাতে গুনী সমাজের কাছেও কীর্তনকে পৌঁছে দেওয়া যায়।

আসলে কীর্তন এতই বড় একটা বিষয় যে লক্ষ জনম শেষেও তা সম্পুর্ন ভাবে বোঝা সম্ভব নয়।

এক একটি কঠিন গান, কঠিন রাগ, তাল তা করতে গেলে শিখে করতে হবে।

আসরে কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে দিলাম, তাহলে হবে না।

সারেগামাপাতে আমি গোবিন্দদাস, বিপ্রদাস, যদুদাসের গান গেয়েছি। এইসব গান আমার মনে হয় না আগে কেউ গেয়েছে।

সারেগামাপার বিজয়ী আপনি। আগামী দিনে কীর্তন নিয়ে কি কি কাজ করার ইচ্ছে আছে?

এছাড়া আগামী দিনে কি অন্য ধারার গান আমরা আপনার কণ্ঠে শুনতে পাবো?

আগামী দিনে অবশ্যই কীর্তন নিয়ে কাজ করব।

কীর্তনের পবিত্রতা বজায় রেখেই নতুনভাবে আমি কীর্তনকে মানুষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

কীর্তনের এক একটি গানের Singles আমার নিজে ইউ টিউব চ্যানেল থেকে মুক্তি পাবে।

আমি ছোটবেলা থেকেই সব ধরণের গান শুনে অভ্যস্ত। চণ্ডীদাস ঠাকুরের পদাবলী থেকে শুরু করে হলিউড মিউসিক…

আমি সব রকমের গান শুনতে ভালোবাসি…

সারেগামাপার মঞ্চে আমি সব রকমের গান গেয়েছি… আগামী দিনে নিশ্চই আমি অন্যধারার গানও গাইব।

ভালো কথা ও সুর পেলে আমার বাংলা মৌলিক গান গাইবার ইচ্ছেও আছে।

ভালো গানের কদর আমি চিরকালই করব।

satkahon
PADMAPALASH – সাক্ষাৎকারে পদ্মপলাশ | SATKAHON

সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তাঁর গান বিভিন্ন চ্যানেল থেকে শোনা যায়।

এক আসরে বলেছিলেন তিনি সেই ভিডিও গুলি থেকে কোন রয়্যালটিও দাবি করেন না।

তাঁর নাম নিয়ে কিছু মানুষ চ্যানেল খুলেছেন। বিভ্রান্ত না হয়ে নিচে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে পদ্মপলাশের নিজের ইউ টিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Padma Palash – https://www.youtube.com/@padmapalash4175/featured

পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আপনি মঞ্চ অনুষ্ঠান করেছেন… এর পর পদ্মপলাশকে আমরা কোথায় কোথায় শুনব?

হ্যাঁ, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় তথা উড়িষ্যা, ঝারখন্ড এবং বাংলাদেশে আমি অনুষ্ঠান করেছি।

এর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন সহ ভারতবর্ষের বাইরে বহু জায়গা থেকে অনুরোধ আসছে।

নিশ্চয়ই সেখানেও অনুষ্ঠান করব।

সারেগামাপা বিজয়ী পদ্মপলাশের কাঁধে এখন আগের থেকে অনেকটা বেশী দায়িত্ব।

যদিও আপনি এই প্রতিযোগিতার মঞ্চে আসার অনেক আগে থেকেই মানুষের হৃদয়ে নিজের যথাযথ স্থান করে নিয়েছিলেন,

তবুও এখন বিশ্বব্যাপী মানুষের আপনার থেকে অনেক আশা।

এই দায়িত্ব কিভাবে পালন করবেন…জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখবেন… তা নিয়ে কিছু পরিকল্পনা?

অবশ্যই। এখন আমার দায়িত্ব অনেক বেশী বেড়ে গেছে। আগে যদিও বা ৮ ঘণ্টা ঘুমোতাম এখন আমাকে ৫ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে।( হাসি)

কীর্তনকে বিশ্ব ব্যাপী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আমাকে রেওয়াজ এবং পড়াশুনা, গবেষণা আরও বাড়াতে হবে।

তার জন্যে আমি দিনের কিছু নির্দিষ্ট সময় ভাগ করে নিজেকে প্রস্তুত করছি,যে সময় কেবলমাত্র আমি আমার সঙ্গীতের বিষয় নিয়ে গবেষণা ও রেওয়াজ করব।

এটা আমার নিজের প্রতি নিজের একটা প্রতিজ্ঞা। যাতে মানুষ মনে রাখতে পারেন যে পদ্মপলাশ ২০২৩ সারেগামাপা বিজয়ী।

ভক্ত পদ্মপলাশ, যাকে আমরা হাসি মুখে কৃষ্ণনাম কীর্তন গাইতে শুনে এসেছি এবং বিজয়ী পদ্মপলাশ একই থাকবেন তো?

সাফল্যের গরবে ভক্ত পদ্মপলাশ হারিয়ে যাবেন না তো?

পদ্মপলাশ চিরকালই একই থাকবে। কারণ এখনও আমি জানি যে আমি কতটা জানিনা।

অনেকে বলতে পছন্দ করেন তাঁরা কতোটা জানেন, কিন্তু আমি বরং কতোটা জানিনা তা বলতেই স্বাছন্দ্য বোধ করি।

তাতে জানার ইচ্ছেটা চিরকাল থাকবে এবং মাথাটা নিচের দিকেই থাকবে।

তবে আমার চর্চার বিষয়কে আমি কখনই হাল্কা হতে দেবো না।

তা নিয়ে কেউ যদি তর্ক করতে আসে আমি রাজি, অন্যায়, অনৈতিক কথাকে আমি কখনই প্রশয় দেবো না।

বিশ্ব সমাজে শিল্পী রয়েছেন অগুন্তি।

কিন্তু যার মনে প্রেম, শ্রদ্ধা, স্নেহ, মমতা নেই তিনি কখনই শিল্পী হতে পারেন না।

অহংকার, দর্পে কখনই একজন শিল্পীর শিল্প মানুষ জন্ম জন্মান্তরের জন্য মনে রাখতে পারেন না।

পদ্মপলাশ এমনই এক শিল্পী যার গান প্রেমের কথা বলে, আধ্যাত্মের কথা বলে।

তাঁর ব্যবহারও তাঁর সঙ্গীতের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই চলে।

আগামী দিনে বাংলার আদি সঙ্গীত তাঁর হাত ধরে বিশ্বে জনপ্রিয় হোক সাতকাহনের পক্ষ থেকে রইল সেই শুভকামনা।

COPYRIGHT © SATKAHON

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *