Kalakar Arts | Pt. A Kanan Music Foundation | Satkahon
Kalakar Arts | Pt. A Kanan Music Foundation
সঙ্গীতের জয়যাত্রায় কলাকার আর্টস সমগ্র বিশ্বে পরিচিত প্রতিষ্ঠান।
পণ্ডিত এ কাননের কন্যাসমা শিষ্যা সঙ্গীতশিল্পী শ্রীমতী চন্দ্রা চক্রবর্তী প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান তাঁদের সাঙ্গীতিক কাজের মাধ্যমে বিশ্বের নানা গুনী মানুষের থেকে সম্মান অর্জন করে চলেছে।
কলাকারের Mehfil, The godsends, Musical Masks ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে আমরা আগেই আলোচনা করেছি।
Pt. A Kanan Music Foundation নামে এই কর্মসূচী আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয়।
কলাকারের সাঙ্গীতিক অনুষ্ঠান যে কেবল মাত্র মনোরঞ্জনের জন্য তা কিন্তু নয়, বরং কলাকার কলাকার সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে করে চলেছে নানা সামাজিক ক্রিয়াকর্ম,করে চলেছে নানা গবেষণাধর্মী কাজ।
ভারতবর্ষের নানা নামী মহিলা শিল্পী, যাদের এই সমাজ বাইজী আখ্যা দিয়েছে তাঁদের জীবন কথা (Tale Of Tawaifs) নিয়ে ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠান করেছে Kalakar Arts UK.
এইবার, ভারতবর্ষের নানা গ্রামে শিশুদের মধ্যে সাঙ্গীতিক তথা চারুশিল্পের বোধ জাগাবার উদ্দেশ্যে তাঁরা গঠন করেছেন
Pt. A Kanan Music Foundation.
বলা বাহুল্য এই কাজ ছোট ছোট গ্রামের ছেলেমেয়েদের এক নতুন জগতের সন্ধান দেবে।
সঙ্গীতশিল্পী শ্রীমতী চন্দ্রা চক্রবর্তী জানালেন,
“গুরুজীর কাছে ছোট থেকে মানুষ হয়েছি। গুরুজী চাইতেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত যেন সবাই শিখতে পারে।
বলতেন, ‘পাখিরা অনায়াসে গান গাইতে পারে কারণ ওদের মনে কোন দ্বন্দ- প্রতিহিংসা নেই। তেমনই গ্রামের শিশুদের মনের মধ্যেও এখনও কপটতা প্রবেশ করেনি। ওদের মনটা হল সরল। তাই যে কোন কিছুই ওরা সহজে শিখে ফেলতে পারে।‘
আমি নিজেও বহুবার ভেবেছি গ্রামে গিয়ে গান শেখাবো। কিন্তু প্রায় ৩০ বছর আমি বিদেশে আছি। নানা ব্যস্ততায় আমার পক্ষে এতদিন সম্ভব হয়ে ওঠেনি আমার মনের ইচ্ছেকে বাস্তব রুপ দেওয়ার।
এখন ব্যস্ততা কাটিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করেছি গুরুজীর নাম নিয়ে এই কাজের উদ্দেশ্যে।“
এই কর্মসূচীতে কলাকার নির্বাচিত শিক্ষক শিক্ষিকা সমূহ ভারতবর্ষের নানা প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকার ১৬ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিক্ষা দেবে।
যন্ত্র সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও নানা চারুকলা শিক্ষা দেওয়া হবে।
বিনা অর্থের বিনিময় কলাকার শিশুদের এই শিক্ষা দেবে।
এই কাজে কলাকারের পাশে রয়েছেন মুম্বাই নিবাসী শ্রীমতি পারমিতা মুখোপাধ্যায়, IKURE , ডঃ দেবাশিষ ভট্টাচার্য, গুনময় দাস।
শুধু তাই নয়, এই মহৎ কাজে সামিল হতে এগিয়ে আসছেন দেশ বিদেশের মানুষ।
শিশুদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিক্ষা দেবেন পণ্ডিত অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য।
তবলা শিক্ষা দেবেন শ্রী অনিরুদ্ধ মুখার্জী।
সেতার শিক্ষা দেবেন শ্রী দীপাঞ্জন গুহ।
কত্থক নৃত্য প্রশিক্ষন দেবেন শ্রীমতি অনুরেখা ঘোষ।
আবৃত্তি প্রশিক্ষন দেবেন শ্রীমতি শ্রেষ্ঠা চট্টোপাধ্যায় মুখার্জী।
প্রাথমিক ভাবে মেদনীপুরের দশগ্রাম ও খেজুরদহতে ক্লাস শুরু হবে এপ্রিল মাস থেকে।
কলকাতার আসে পাশে যেসব ছাত্র ছাত্রী আর্থিক প্রতিকূলতার কারণে গান শেখার সুযোগ পায় না তাঁদের জন্য ক্লাস নেওয়া হবে ঋষি অরবিন্দ সোসাইটি বেহালা আর্কেডিয়াতেও।
পরবর্তীতে ঝাড়গ্রামের বেশ কিছু এলাকায় ক্লাস নেওয়া হবে।
সবশেষে প্রতিষ্ঠাত্রী বললেন,
“ গুরুজীর কথার সুত্র ধরেই বলছি, একদিন এমন আসবে আর্থিক প্রতিকুলতার কারণে যে সমস্ত শিশুরা সমাজে পিছিয়ে তারাও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিপুল সমুদ্রের সন্ধান পাবে। হয়ত তারা এর মাধ্যমে নতুন কোন জীবিকারও খোঁজ পেয়ে যেতে পারে।
এই প্রতিযোগিতার যুগে যেখানে পোশাক-আশাক বাহ্যিক রঙটাই বড় হয়ে উঠেছে সেখানে আমরা তাদের কণ্ঠে গান তুলে দেব যারা দামী পোশাকে নয়, গান দিয়ে জগত জয় করবে। “