Dr. Ratan Samaddar | Satkahon
Dr. Ratan Samaddar | Satkahon
প্রতিবেদন- জ্যোতির্ময় দত্ত
“আমার কণ্ঠ যেদিন রুদ্ধ হবে ,
আমার মনেও যুদ্ধ হবে,
গানের পাখি দেবে ফাঁকি আমার জীবন থেকে
আমি সেদিন হবো বিলীন পঞ্চভূতের পাকে।”
কথার যেখানে শেষ সেখানেই গানের শুরু অথচ পেট চালাতে তিনি চিকিৎসক,রক্তের শিরা উপশিরায় সুর, জীবনবোধ এর তত্ত্ব কথা , এমনই পরিচয় নিয়ে জীবন তরী বেয়ে চলেছেন আত্মভোলা সুপরিচিত ডাক্তার রতন সমাদ্দার।
বাড়ি শ্রীরামপুর শহরে। চেম্বারে Stethoscope হাতে ব্যস্ত।
জেলার এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত , উত্তরপাড়া থেকে আরামবাগ , হৃদয় নিয়ে গবেষণা জটিল থেকে জটিলতর রোগীদের নিয়ে।
সকাল থেকে উপচে পরা রোগীদের সামাল দিয়ে ছুঁটেছেন প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে ,পথেই টুকিটাকি খাওয়া,গাড়ির সিটে-ই বিশ্রাম , চমক ভাঙতেই পেন ডায়রী সাথে গুনগুন।
যমে-,মানুষের টানাটানির মাঝে দাঁড়িয়ে রাতের পর রাত এমনই লড়াই।
হার মানা শব্দটা তার জীবন অভিধানের কাছে এসে থমকে দাঁড়ায়।
মানসিক জোর মজবুত করতেই একাধিক জলসার আয়োজন , আক্ষরিক অর্থে বিচিত্রা অনুষ্ঠান মনে হলেও
তিনি কেবল জানেন কাদের জন্য এই অনুষ্ঠান , যদিও বিষয়টা তিনি গোপনই রাখেন।
ওষুধপত্রের বাইরে মেন্টাল থেরাপি আর অবাক করা সাফল্য,এক ফালি মুচকি হাসি,আবার ব্যস্ত।
বাংলার লোকসংগীতকে পাথেয় করে ফোক তন্ত্র গড়ে ফেলেছেন।
তাতে দূর দিগন্ত থেকে দৌড়ে আসছেন বহু শিল্পী , তার এই প্রচেষ্টা কে সাধুবাদ জানিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন যন্ত্র শিল্পীরা।
তার লেখা এবং সুরে ,ইতোমধ্যে প্রায় অনেক গান রিলিজ করেছে বিভিন্ন youtube চ্যানেল এবং সিনেমাতেও।
শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বাংলা সিনেমা ‘অনন্য শারদীয়া’য় মুক্তি পেয়েছে তাঁর সুরে ও তাঁরই লেখনীতে একটি গান। যেটি গেয়েছেনও স্বয়ং তিনি।
তিনি একাধারে চিকিৎসক , গায়ক , গীতিকার , সুরকার ছাড়াও অনেক বিশেষনেই তাকে ভূষিত করা যায় কিন্তু তার জন্য খুব ই সামান্য।
কারণ তার চেতনা ও উপলব্ধিতে জীবন তার হাতের মুঠোয়।
শহর জুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের খবর পেলে নিজেকে স্থির রাখতে পারেন না , দিনের শেষে সারাদিনের আয় নিয়ে , পাওয়া না পাওয়ার হিসেবে করতে বসেন না।
যেই কারণেই সাংস্কৃতিক প্রেমিক মানুষরা তার এই কর্ম কাণ্ডে নিজেদের গর্বিত মনে করেন ঠিক তেমন ভাবেই
আবার সামান্য সংখ্যক মানুষ হতবাক হয়ে যান তিনি এত কিছু করেন কি ভাবে,কখনই বা করেন।
বাংলার লোক সংগীত তথা নতুন বাংলা গানকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া তার জন্য অনেক যোজন পথ হাঁটতে হবে জেনে নিজেকে আরো শক্ত করছেন।