De Bristi | বাংলা মৌলিক গানে আসানসোলের সৌম্যজিৎ। Satkahon
De Bristi | বাংলা মৌলিক গানে আসানসোলের সৌম্যজিৎ
এ এক লড়াকু ছেলের কাহিনী। সঙ্গীতপ্রেমী তথা সঙ্গীতের প্রতি একাগ্র সে।
অভিধান বলে যিনি সুন্দরকে জয় করেছেন তিনি সৌম্যজিৎ।
কিন্তু আসানসোলের ছেলে সৌম্যজিৎ কর্মকার শুধু সুন্দরকেই নয়, জয় করেছেন তাঁর মনের ইচ্ছেকেও।
মনে আমাদের অনেক ইচ্ছে থাকলেও তাকে পরিপূর্ণতা দেবার জন্যে কখনো আমাদের থাকে না সাধ্য তো কখনো বা ক্ষমতা।
কিন্তু সৌম্য করে দেখিয়েছেন হাজার প্রতিকুলতার সঙ্গে লড়াই করে হলেও তিনি তা পারেন।
কিভাবে? সেই কাহিনীই আজ আপনাদের জানাব। আসুন তার আগে শুনে নিই সৌম্যর গান…
পরিবারে সঙ্গীতের চর্চা ছিল। আজও বাড়িতে নিয়ম করে কীর্তনের আসর বসে। বাবা মা দুজনেই গান ভালবাসেন,গান করেন।
সুতরাং,এ কথা অনস্বীকার্য সাঙ্গীতিক পরিবেশেই জন্ম সৌম্যজিতের।
পাঁচ বছর বয়সে তবলা শিক্ষা দিয়ে শুরু হলেও মায়ের ইচ্ছেতে সাত বছর বয়স থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখতে শুরু করেন সৌম্যজিৎ।
বাবার বদলির চাকরি হওয়ায় বারবারই ঘর হয়ত বদলাতে হয়েছে তাঁকে কিন্তু সঙ্গীত চর্চায় ভাঁটা পরেনি কোনদিনই।
গুরু সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায় এসে সঙ্গীত সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারনা পান সৌম্য।
সৌম্য বলেন,” গান যে ভালোবেসে গাইতে হয়, তা আমি শিখেছি সুকুমার স্যার এঁর কাছে। সঙ্গীত আমার মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় ছিল, তাকে জীবন্ত করে তুলেছেন তিনি।আমি তাঁর কাছে চিরঋণী।“
এরপর নানা দিক থেকে সৌম্যর সঙ্গীত জীবনে নেমে আসে ঝড়। পড়াশুনা এবং ব্যক্তিগত কিছু কারণে গান গাওয়া বন্ধ করে দেন তিনি।
কিন্তু অন্যদিকে গোপনেই মন দেন নতুন করে গান লেখা ও সুর করায়। সময়ের সাথে প্রিয়জন ও পরিস্থিতি হাত ছাড়লেও সঙ্গীত হাত ছাড়েনি।
ছেড়ে যায়নি পুরনো খাতা জুড়ে লেখা পাতার পর পাতা গান।
এরপর যখন বরেণ্য অভিনেতা স্বর্গীয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অভিনয় শিখছেন তিনি, ‘বহমান’ ছবিতে অভিনয় করেছন ছোট ভূমিকায়…তখন প্রায়শই বন্ধুদের গান শোনাতেন সৌম্য।
বন্ধুরা উৎসাহ দিতে শুরু করলে নতুন করে গান গাইতে শুরু করলেন তিনি।
করোনার সময় যখন সবাই ঘর বন্দি, সেই সময়ই সুর করে ফেললেন “দে বৃষ্টি” গানটিতে। পরিচয় হল বন্ধু আকাশ চ্যাটার্জীর সাথে।
এরপর সৌম্যজিৎ ও আকাশের মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি হয় ইউটিউব টিউব চ্যানেল SOFT OCTAVE. প্রকাশিত হয় “DE BRISTI”
গানটি গেয়েছেন সৌম্যজিৎ।
গানের সুর ও লেখা তাঁর নিজের।
সঙ্গীতায়োজন করেছেন আকাশ ও সৌম্যজিৎ।
গানে গিটার সঙ্গত করেছেন বিক্রম শঙ্কর।
গানের মিক্সিং ও মাস্টারিং করেছেন আকাশ।
দৃশ্যায়নে ছিলেন দীপ।ভিডিও সম্পাদনা করেছেন এস জে ক্রিয়েশন।
গানটি রেকর্ড করা হয়েছে STUDIO VOICE – দুর্গাপুরে।
বাঙালি ছেলে চাকরি না করে গানবাজনা করবে, এ চিন্তা ভাবনা থেকে সমাজ অনেক অংশে বেরিয়ে এলেও এখনও হয়ত কিছু মানুষ আছেন যারা একটি প্রতিভাবান শিল্পীর হাত ধরে রাখেন পিছুটানে।
সমাজকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যারা দৌড়ে এগিয়ে যেতে পারে, তারাই হয়ত জীবনে কিছু করে দেখাতে পারে।
আশাকরি আগামি দিনে সৌম্য সেই ‘করে দেখাতে পারা’ মানুষদের মধ্যেই নিজের নাম খোদাই করে দিতে পারবে।
সাতকাহনের তরফ থেকে রইল এক রাশ শুভেচ্ছা।
Osadharon..😊😊egiye jao
Thank you so much from SATKAHON.Please share.