Azaadi | রবি ও রহমানের মেলবন্ধন | দেশমাতার বন্দনায় সুরকাহন | Satkahon

Azaadi | রবি ও রহমানের মেলবন্ধন
স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ,২০২১।
জননীর বেড়ি মুক্ত করতে বলি হওয়া কোটি প্রানের আজ জন্মদিন যেন।
ধন্য সন্তানদের কণ্ঠে বন্দনা গীতি আর আকাশে উচ্চশিরে উড়ছে জাতীয় পতাকা। আমাদের ভারতবর্ষ।
১৯০৫ এর বঙ্গভঙ্গ আর ২০২০ থেকে এখনও পর্যন্ত করোনা মহামারির মানবজীবনের রঙ্গভঙ্গ, মানুষ খুঁজে চলেছে স্বাধীনতা।
এই স্বাধীনতা উচ্চকণ্ঠে গান গাইবার, এই স্বাধীনতা একে অপরকে আলিঙ্গন করার, এই স্বাধীনতা একে অপরের দুখে আনন্দে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার।
এই দোলাচলেই সুরকাহনের নব নিবেদনে মিলিত হলেন রবি ও রহমান। তাঁরা হুজুগে দল আর তাঁদের পরিবেশনায় এবার “আজাদি”
অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন সুরকাহনের সুরের তরীর যাত্রী তথা হুজুগে দলের এক হুজুগে নীলাঞ্জন।
শুনব তাঁর কথা তবে আগে শুনব গানটি।
নীলাঞ্জন বললেন,
“গান নিয়ে আমাদের পথ চলা। সংকট-আনন্দের মোহনা দিয়ে হেঁটে চলা এই পৃথিবীতে হুজুগে বন্ধুরা মিলে ঠিক করলাম ফের আঁকড়ে ধরব একে অন্যের হাত। গাইব মুক্তির গান। সেই গান মানুষকে পৌঁছে দেবে ভাষা, সংস্কৃতি, সাম্রাজ্য, রাজনীতির সমস্ত বিভাজনের অনেক অনেক ওপরে। আজ থেকে বহু বছর আগে এই দেশকে কল্পনা করেছিলেন কিছু মানুষ, তাঁদের লেখার মধ্যে দিয়ে, সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে। হুজুগে দলের অভিভাবক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। সঙ্গী হলেন এ.আর. রহমান; সমসাময়িক কালে যাঁর হাত ধরেই এদেশের সুরে উত্তর, দক্ষিণ, রাজ্য, প্রদেশ, অঞ্চলের বেড়াজালগুলি ধুয়ে মুছে গেছে। তাদের এই গান ভারতবর্ষের সেই বিপুলতা, সেই বৈচিত্রকেই উপলব্ধি করে।
এদেশের পোষাকরীতি, শিল্প, সংস্কৃতি, সংগীত, সমস্ত ক্ষেত্রেই যে বিভিন্নতা, তাই আমাদের গানের বুনিয়াদ। সেই বিভিন্নতার মধ্যেই যে ঐক্যের সুর, তাই গানের মূলমন্ত্র। হুজুগে দলের কাজের ক্ষেত্র এই দুজন মহান সঙ্গীত স্রষ্টার সুরসৃষ্টি নিয়ে এক জায়গায় নিয়ে আসা এবং সুর ছন্দ লয় কথার ভিত্তিতে নানারকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া। এই দুজন স্রষ্টার সৃষ্টির মধ্যেই যে দেশের সুরের সাথে সাথে বিশ্বসুরের বা আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠার ভাব আছে তাকে কাজের মধ্যে নিয়ে আসাটাই লক্ষ্য হুযুগের।
আমাদের নতুন কাজ ‘আজাদি’ সেই ঐক্যের সুর নিয়েই এগিয়ে চলার কথা ভেবেছে। তাই আমাদের তরফ থেকে সকলকে জানাই পঁচাত্তরতম স্বাধীনতা দিবস ও আগামীর শুভেচ্ছা।“
গান গেয়েছে সোমঋতা, অরুন্ধতী, সোমদত্তা, শ্রবণা, বল্লরী, অঙ্কিতা, প্রত্যয়, অঞ্জিষ্ণু, দীপাঞ্জন, নীলাঞ্জন।
শব্দ-যন্ত্র ও ভিডিওর কাজে অংশ নিয়েছেন রণদীপ আর সৌম্যদীপ।
সুরকাহনের জন্যে সাতকাহনের তরফ থেকে রইল একরাশ শুভকামনা।