শোনো শোনো পিতা | আনন্দধ্বনি | Satkahon Review
শোনো শোনো পিতা | আনন্দধ্বনি
“কি হবে গতি? বিশ্বপতি শান্তি কোথা আছে?
তোমারে দাও, আশা পুরাও, তুমি এসো কাছে।“
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের মননে, আমাদের চিন্তনে, প্রানে। তাঁর গান আমাদের কাছে বেদ মন্ত্রের মত।
তাঁর গান বাঙালীর দুঃখ-বেদনা-ভালোবাসা-মান-অভিমান প্রকাশের মাধ্যম। তেমনই মাধ্যম প্রার্থনারও।
সঙ্গীতশিল্পী দেবপ্রিয়া চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে আনন্দধ্বনি সঙ্গীত প্রতিষ্ঠানের ১৬ জন ছাত্রছাত্রীর কণ্ঠে ধ্বনিত হল বর্ষ শুরুর প্রার্থনা “শোনো শোনো পিতা”
Anondodhwani Institute For Performing Arts Present শোনো শোনো পিতা…. Shono Shono Pita.. Direction& Concept Debopriya Chakraborty Music Direction Subhasish Baban Tabla: Dibyendu Banerjee Recording & mixing at Studio Partha’s Creation Videography & Eiditing Go বাঙালী
Posted by Anondodhwani on Tuesday, 5 January 2021
বিস্তারিত আলোচনার আগে আসুন শুনে নিই গানটি….
জীবনের প্রথম ১২ বছর পিসেমশাইের কাছেই সঙ্গীতের প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণ করেন দেবপ্রিয়া। রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রথম শিক্ষাগুরু সর্বজনবিদিত রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী শ্রীমতী শ্রাবণী সেন।
এরপর ‘দক্ষিণী’ থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি।
বর্তমানে তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীতে স্নাতকোত্তর পড়াশুনা শেষ করেছেন।
মঞ্চ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেবপ্রিয়া প্রতিষ্ঠা করেন সংগীত প্রতিষ্ঠান Anondodhwani Insitute for performing Arts.
আনন্দধ্বনির বয়স প্রায় তিন বছর, এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩০ এর অধিক।
সংগীত ও নৃত্যবিভাগের সাথে সাথে এই বছর থেকেই বাদ্যযন্ত্র প্রশিক্ষন বিভাগ যুক্ত করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানে।
২০২০ এর ভয়াবহ মহামারী আমাদের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
কেড়ে নিয়েছে প্রিয়জন। নতুন বছরে একরাশ আশা নিয়ে ধ্রুব শক্তির উদ্দ্যেশ্যে আনন্দধ্বনির ছাত্র ছাত্রীদের প্রার্থনা ‘শোনো শোনো পিতা’ যেন এক আকুতি।
এর মধ্যেই সহস্র মানুষের মন কেড়েছে এই গান। শুধু আনন্দধ্বনিই নয়, অন্যান্য বেশ কিছু ফেসবুক পেজ থেকে গানটি প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশী দর্শক শ্রোতার সমাদর পেয়েছে।
সমবেত সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেছেন, অহনা, আরিনি, অস্মি, সুচেতা, প্রিয়াংশী, এতাস, সহিষ্ণু, রিতভিক.টি.নাগেশ, মেঘলীনা ,ভাবনা, ধরিত্রী, সন্দীপ্তা, ইন্দ্রানী, ছন্দ্রা, সৌম্য, সৌরাশিষ।
গানের সমগ্র ভাবনা ও সংগীত পরিচালনায় ছিলেন দেবপ্রিয়া চক্রবর্তী।
সংগীত আয়োজন করেছেন শুভাশিস দত্ত (বাবান)।
তালবাদ্যে সঙ্গত করেছেন দিব্যেন্দ্যু বন্দ্যোপাধ্যায়।
গানটির শব্দগ্রহন ও মিক্সিং করা হয়েছে পার্থস ক্রিয়েশন থেকে।
চিত্র গ্রহণ ও চিত্র সম্পাদনা করেছে Go বাঙালী।
৬ই জানুয়ারী আনন্দধ্বনির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে মুক্তি পেয়েছে গানটি।
সাতকাহনের তরফ থেকে আনন্দধ্বনি সংগীত প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রইল একরাশ শুভেচ্ছা।