শতবর্ষে পণ্ডিত রবিশঙ্কর,গানে গানে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন পিউ -Satkahon.in

ভারতের প্রথম মহাকাশচারি রাকেশ শর্মাকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী প্রশ্ন করেন, মহাকাশ থেকে আমাদের ভারতবর্ষকে কেমন দেখতে লাগে? উত্তরে রাকেশ শর্মা বলেছিলেন ‘সারে যাঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্তান হমারা’
মূল গানটির বয়স ১০৪, ব্রিটিশ অধ্যুষিত ভারতে মহম্মদ আল্লামা ইকবাল রচিত এই কবিতা ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই আগস্ট ইত্তেহাদ নামক একটি পত্রিকার শিশু বিভাগে প্রকাশিত হয়, পরে লালা হরদয়ালের আমন্ত্রনে লাহোর গভর্নমেন্ট কলেজের একটি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করতে গিয়ে ভাষন দেবার পরিবর্তে ইকবাল এই কবিতা গেয়ে শোনান।
আনুমানিক ১৯৪৫ সালে যখন পণ্ডিত রবিশঙ্করজী মুম্বাই IPTA (Indian Peoples Theater Association) তে কর্মরত, তখন তিনি সুরারোপ করেন ইকবাল রচিত এই কবিতাটিতে। বিপুল জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে স্থান লাভ করে এই গান।
এই বছর পণ্ডিতজীর শততম জন্মবার্ষিকী চলছে সমগ্র দেশ জুড়ে। এমন মুহূর্তে বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী পিউ মুখার্জী-এর সঙ্গীত পরিবেশন তথা পরিচালনায় রবিশঙ্করজী সুরারোপিত দূরদর্শনের থিম মিউজিকের সাথে, ‘সারে যাঁহা সে আচ্ছা’ গানের মেলবন্ধন যেন আবার নতুন করে ভারতীয় হবার পাশাপাশি বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে জাগিয়ে দিলো। শতবর্ষ পুরনো একটি সুর যে এখনও জনপ্রিয়তার শিখর স্পর্শ করছে তা প্রমানিত হল আরও একবার।
গানে পিউ মুখার্জীর সাথে কণ্ঠসঙ্গীতে রয়েছেন দুর্নিবার সাহা, আরফিন রানা, এবং সুমিত মিশ্র। সঙ্গীতায়োজন করেছেন প্রদ্যুত চট্টোপাধ্যায়। পারকাসন সঙ্গত করেছেন শ্রী রাতুল শঙ্কর। সানাই বাদনে রয়েছেন জনাব হাসান হায়দার খান, এবং সরোদ সঙ্গত করেছেন অর্ণব ভট্টাচার্য।
সমগ্র শব্দ গ্রহন করেছেন গৌতম বসু (Studio Vibrations), ও গানের মিক্সিং ও মাস্টারিং করেছেন শ্রী সোম চট্টোপাধ্যায়।
গানটির ভিডিও গ্রহন ও ভিডিও পরিচালনা করেছেন ডঃ মাহিরি বসু। পোস্টার ডিজাইন ও ছবি তোলার দায়িত্বে নিপুন দক্ষতা দেখিয়েছেন রোমিত ব্যানার্জী।
ভিডিও গ্রহন করা হয়েছে Studio on air থেকে ও গানটি মুক্তি পেয়েছে Folk studio bangla ইউ টিউব চ্যানেল থেকে।
আসুন শুনে নেওয়া যাক গান প্রসঙ্গে সাতকাহনকে কি বললেন শিল্পীরা…
দারুন দারুন শাড়িতে পিউ ও মাহিরিকে সাজিয়ে তুলেছে আমন্ত্রন বুটিক এবং মেকাপ করেছেন রঞ্জন ও মিতালি।
ভারতবাসী হবার এক বুক গর্ব নিয়ে পুনের ইয়েরাওয়াদা জেল-এ বন্দী থাকাকালিন বার বার এই গান গেয়েছেন মহাত্মা গান্ধী, এই গান শুধু গান নয়, ভারতবাসীর কাছে এ এক ভক্তিস্তব।
নতুন গান নিয়ে নানারকম কাজ হলেও শতবর্ষ পুরনো এই গান কে নতুন করে সাজিয়ে পণ্ডিত রবিশঙ্করজীকে যে শ্রদ্ধা জানালেন পিউ তা প্রশংসনীয়।
একদিন যে গান ব্রিটিশ বিরোধিতায় অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠেছিল, বর্তমান এই কঠিন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক ভারতবাসীর মনে তা এক নব জাগরন আনবে, আমাদের সুন্দর দেশ আবার আনন্দ মুখর হয়ে উঠবে আবার, কারণ, better than the entire world, is our Hindustan.
COPYRIGHT © 2020 SATKAHON
Durnibar voice quality far better than other music need to blending esp the last part too loud Ratul’s sensibly played the ghatam according to the mood
Nice Article..well done satkahon
Thank you so much