সাতকাহন ‘আমার কলম‘ বিভাগে আপনার লেখা পাঠাতে চান?
WHATSAPP – 9038482776
MAILsatkahonnews@gmail.com

১। যে কোন সাংস্কৃতিক বিষয় যেমন,
বাদ্যযন্ত্র, হারিয়ে যাওয়া বাদ্যযন্ত্র, হারিয়ে যাওয়া শিল্প, আপনার চোখে আপনার গুরু,
নৃত্যশৈলী, নাটক, বই, সাহিত্যিক, ইত্যাদি বিষয়ে অনধিক ৬০০ শব্দে লেখা পাঠাতে হবে।
২। লেখা হতে হবে বাংলায়।
৩। আপনার পরিচয় ও একটি ছবি অবশ্যই লেখার সাথে পাঠাতে হবে।

মাটির গয়না | কলমে- দীপমাল্য চন্দ্র | AMAR KOLOM

মাটির গয়না

হারিয়ে গেছে মাটির গহনা
কলমে- দীপমাল্য চন্দ্র

শিক্ষার্থী
তারকেশ্বর, হুগলি
পশ্চিমবঙ্গ

মাটির গয়না | কলমে- দীপমাল্য চন্দ্র | AMAR KOLOM

নারী সাজতে ভালোবাসে না এমন কেউ নেই।

সাজ মানেই সবার আগে মুখ্য বিষয় হিসাবে উঠে আসে অলঙ্কারের কথা।

যা প্রত্যেক নারীকে অনন্যতা রূপ দেয়। কথাতেই তো আছে গহনা হল নারীর স্ত্রী ধন।

সোনার গহনা তো সব মহিলারাই পছন্দ করেন তবুও এমন ব্যতিক্রমীও আছেন সোনা সুট করে না কিংবা পড়তে এতোটা ভালোবাসেন না।

বর্তমানে জুয়েলারিরও রকমফের এসেছে।

সোনার পাশাপাশি, ইমিটেশনের সেট আবার এখন তো জুট, সিলভার,ধাতব, বেত – কাপড়ের উপর রকমারি ব্রিডস বসিয়ে গহনার চল এসেছে।

আর এখনকার ফ্যাশানে তো ইভেন্ট বিশেষে ড্রেসের সাথে ম্যাচিং জুয়েলারি না পড়লে সাজটাই যেন ম্যাড়মেড়ে।

এখন বিবাহ অনুষ্ঠান গুলোতেও নিমন্ত্রন রক্ষার ক্ষেত্রে নারীদের সোনার গহনা খুব একটা পড়তে দেখা যায় না,হ্যাঁ খুব নিকট আপনজনের অনুষ্ঠান ছাড়া।

নারীর অলঙ্কারের মধ্যে মাটির জুয়েলারি সুনয়না রূপ দেয়।

মাটির তৈরি শিল্পশৈলী বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য।

এক সময়ে বাংলাদেশে মাটির তৈরি তৈজসপত্রের বিপুল চাহিদা ছিল।

কালের বিবর্তনে অনেক নিপুণ দক্ষতার সঙ্গে বানানো তৈজসপত্র আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে।

আগে মাটির তৈরি গহনা পড়ার চল ছিল, কালের নিয়মে সেটাও বিলুপ্ত হতে বসেছে।

 মাটির অলঙ্কার রূপায়নের জন্য প্রধানত দরকার হয় এঁটেল মাটির।

অলঙ্কারের আকার এবং পরিমাণ কিরূপ হবে তা নির্ভর করে জল এবং মাটির পরিমাণের উপর।

আকৃতি এবং ডিজাইনের মোটামুটি ১৫-২০ রকম ছাঁচ হলেই চলে। ছাঁচ গুলো ওয়েন্ডিং-র দোকানেই পাওয়া যায়।

এবার যে মুখ্য বিষয়টি প্রয়োজন তা হল চুল্লি। আমরা তো সবাই জানি বাঁকুড়া হল লাল মাটির দেশ, সেখানে এই মাটির গহনা প্রস্তুতের আখড়া।

এখন যদিও বাঁকুড়ার সীমানা ছাড়িয়ে সব জেলাতেই মাটির গহনার সৃজনীর ব্যপ্তি ঘটেছে।

সাতকাহন ‘আমার কলম‘ বিভাগে আপনার লেখা পাঠাতে চান?
WHATSAPP – 9038482776
MAILsatkahonnews@gmail.com

১। যে কোন সাংস্কৃতিক বিষয় যেমন,
বাদ্যযন্ত্র, হারিয়ে যাওয়া বাদ্যযন্ত্র, হারিয়ে যাওয়া শিল্প, আপনার চোখে আপনার গুরু,
নৃত্যশৈলী, নাটক, বই, সাহিত্যিক, ইত্যাদি বিষয়ে অনধিক ৬০০ শব্দে লেখা পাঠাতে হবে।
২। লেখা হতে হবে বাংলায়।
৩। আপনার পরিচয় ও একটি ছবি অবশ্যই লেখার সাথে পাঠাতে হবে।

কিন্তু কিন্তু!

নতুন নতুন উদ্ভাবনের দৌলতে মাটির গহনাই আজ ব্যাকডেটেড হয়ে পড়েছে।

এবার আসা যাক শৈলী পদ্ধতিতে।

প্রথমে এঁটেল মাটি জল দিয়ে নরম করে নিতে হবে।

এবার নির্দিষ্ট পরিমাণ মাটি দিয়ে গোল বা চাপ্টা মতো আকৃতি বানিয়ে নিতে হবে।

এবার ছাঁচ নিয়ে গোল বা চাপ্টা করা মাটিতে চাপ দিয়ে ডিজাইন করা হয়।

এরপর সেগুলো চুলো বা চুল্লিতে পোড়ানো হয়। মাটির গহনা প্রস্তুতের জন্য বিশেষ ধরণের চুল্লির প্রয়োজন হয়।

চুল্লির মধ্যে শিক লাগানো থাকে। সেই শিকের উপর গহনা রেখে নীচে ধানের তুষ বা কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালানো হয়।

ফলস্বরূপ গহনা গুলো পুড়ে লালচে হয়ে যাবে। সর্বশেষে গহনা গুলো রঙ এবং বিভিন্ন ডিজাইন করতে হয় আর সুতো ও চিকন তার দিয়ে পরিধানের উপযোগী করতে তুলতে হয়।

এইভাবে মাটির কানের দুল, হার, চুড়ি প্রস্তুত করা হয়।

আধুনিকতার মোড়কে মাটির অলঙ্কারের ব্যবহার কমে যাচ্ছে, আবার স্বমহিমায় ছন্দে ফিরুক সেই আশায় থাকি।

আবার রমনীদের অঙ্গে শোভাবর্ধন করুক মাটির গহনা।।

 COPYRIGHT © SATKAHON

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *