সাতকাহন ‘আমার কলম‘ বিভাগে আপনার লেখা পাঠাতে চান?
WHATSAPP – 9038482776
MAIL– satkahonnews@gmail.com
১। যে কোন বিষয়ে অনধিক ৬০০ শব্দে লেখা পাঠাতে হবে।
২। লেখা হতে হবে বাংলায়।
৩। আপনার পরিচয় ও একটি ছবি অবশ্যই লেখার সাথে পাঠাতে হবে।
চা-কথা ১ | সুদীপ চক্রবর্তী | আমার কলম | Satkahon
চা-কথা ১ | কলমে- সুদীপ চক্রবর্তী
প্রাচীন ভারতের সংস্কৃত কাব্যে চায়ের উল্লেখ আছে।
চা’কে বলা হয়েছে ‘স্বল্পাক্ষর, মসন্দিগ্ধ সারব্য বিল্বতে মুখম্’।
চা বলতে সচরাচর বোঝায় সুগন্ধ যুক্ত সুস্বাদু এক ধরনের উষ্ণ পানীয়।
চা গাছ থেকে চা পাতা পাওয়া যায়। চা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘ক্যামেলিয়া সিনেনসিস’।
চাপাতা আসলে চা গাছের পাতা, পর্ব ও মুকুলের সমন্বিত একটি কৃষিজাত পণ্য যা বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুত করা হয়।
CLICK TO JOIN: SATKAHON NEWS FACEBOOK GROUP
ইতিহাসঃ
ইংরাজীতে ‘চা ’ এর প্রতিশব্দ হল ‘টী’(Tea). গ্রীকদেবী থিয়ার নামানুসারে এরূপ নামকরণ হয়ে ছিল।
চিনে ‘টী’ এর উচ্চারন ছিল ‘চি’। পরে যা ‘চা’ এ রূপান্তরিত হয়ে যায়।
চা মৌসুমী অঞ্চলের পার্বত্য ও উচ্চভূমির ফসল। একপ্রকার চিরহরিৎ গাছের পাতা শুকিয়ে চা প্রস্তুত করা হয়।
চিন দেশই চায়ের আদি জন্মভূমি। ১৬৫০ খ্রীষ্টাব্দে চিনে প্রথম বানিজ্যিক ভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু করা হয়।
ভারতবর্ষে চায়ের চাষ শুরু হয় ১৮১৮ খ্রীষ্টাব্দে। ১৮৫৫ খ্রীষ্টাব্দে ব্রিটিশরা সিলেটে সর্বপ্রথম চায়ের গাছ খুঁজে পায়।
১৮৫৭ সালে সিলেটের মালিনীছড়ায় প্রথম বানিজ্যিক ভাবে চা-চাষ শুরু হয়। চার্লস আলেকজেন্ডার ব্রুস ১৮৩৯ সালে যে রিপোর্ট লিখেছিলেন তাতে চা সম্পর্কে অনেক তথ্য আছে।
১৮২৩ সালে আসামে চা গাছ আবিস্কার হয়েছিল।
১৮৩৫ সালে আসামের সদিয়ায় প্রথম চা চাষ হয়।
১৮৪০-৪১ সালে দার্জিলিঙে ক্যাম্ববেল সাহেবের বাগানে প্রথম চা গাছ লাগানো হয়ে ছিল।
১৮৪১ সালে দার্জিলিঙে চা চাষ শুরু হয়।
১৮৭৪ সালে জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সে গাজোলডোবায় প্রথম চা চাষ হয়।
সপ্তদশ শতাব্দীতেই ভারতে চা যে প্রচলিত ছিল তার প্রমান পাওয়া যায় চিনা ভাষায় লেখা পর্যটক আই চিং এর সফরনামায়।
CLICK TO JOIN: SATKAHON NEWS FACEBOOK GROUP
রীতিঃ
ভোরবেলায় বিছানায় বসে চা পান করা বিলিতি কেতা হলেও, বেড টী প্রথা এখন প্রায় সব দেশ গ্রহণ করেছে।
বেলা চারটের সময় আফটারনুন টী ও ইউরোপের মত এশিয়াতেও জনপ্রিয়।
শোনা যায় ১৮৪০ সালে ডিউক অফ বেডফোর্ডের স্ত্রী ডাচেস অফ আনার আমলে এর চল হয়ে ছিল।
বেড টী, আফটারনুন টী, ইভনিং টী ও হাই টী ছাড়াও অনেক রাত্রে একটা দিনের সমাপ্তি ঘোষনা করার ছুতোয় বিলেতের মানুষ আর একবার চা পান করার সুযোগ নেয়।
আদি পর্বে মানুষ চা পান করতে শিখে লিকার পছন্দ করত।
তারপর স্বাদ বাড়াবার জন্য চল হল চিনি, সুগন্ধের জন্য কেশর বা পিচ যোগ করা হল।
অস্ট্রেলীয়াবাসীরা শহরাঞ্চলে চায়ের পাতার উপর ফুটন্ত গরম জল ঢেলে দিয়ে পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে চা তৈরী করে,
কিন্তু গ্রামীন এলাকাবাসীরা ফুটন্ত জলে চা পাতা দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে চা তৈরী করে।
প্রাতরাশ তৈরী হওয়া পর্যন্ত সেটি ফোটে তারপর সেই কড়া লিকার পান করে বাকি লিকার সমেত বিলিক্যান ঢিমে আঁচে বসিয়ে কাজে যায়।
ফিরে এসে আরও কড়া লিকার তারা পান করে।
আফগানিস্তানে প্রত্যেক অতিথিকে ওরা আলাদা টী-পটে চা পরিবেশন করে থাকে।
ওরা সবুজ চা পান করে।
এস্কিমোরা প্রায় সারা দিন চা পান করে বরফের তৈরী ইগলুতে বসে। ওরা গরম চায়ে এক টুকরো বরফ মিশিয়ে নেয়।
তিব্বতীয়রা প্রথমে ঠান্ডা জলে চাপাতা ভিজিয়ে রেখে তারপর সেটা ফুটিয়ে লিকার তৈরী করে।
to be continued…..
পরবর্তী পর্ব আগামী বুধবার…
Pingback: চা-কথা ২ | সুদীপ চক্রবর্তী | আমার কলম | Satkahon - Satkahon